নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো”, শুভেন্দুর পদত্যাগের পর তীব্র কটাক্ষ কল্যাণের

Advertisement
Advertisement

বেশ অনেকদিন ধরে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম ছিল শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে। শুভেন্দু আদেও তৃণমূলে থাকবে নাকি সেই নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। অবশেষে আজ দুপুরে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর কিছুদিন আগেই তিনি তার মন্ত্রিত্বপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আজকের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি। আর তার ইস্তফা পত্র জমা দেয়ার পরই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।

Advertisement
Advertisement

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন, “এই সমস্ত পূর্বপরিকল্পিত। বিজেপির সাথে শুভেন্দুর যোগাযোগ প্রায় এক বছর আগে শুরু হয়েছিল। এমনকি আমি এই কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু দিদি তার কর্মীদের অপর অনেক বিশ্বাস রাখেন। তাই তখন শুভেন্দুর বিজেপি যোগকে তিনি বিশ্বাস করেননি।” আজকের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দুর আগামী শনিবার বিজেপিতে যোগদান প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরে সশরীরে বিধানসভায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এসে তিনি বিধানসভার সচিবের হাতে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। নিজের হাতে নিজের ইস্তফাপত্র লেখেন তিনি। সংবিধানের ২০৮ ধারা অনুযায়ী পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এইদিন যখন তিনি বিধানসভায় আসেন তখন অধ্যক্ষ সেখানে ছিলেন না। সেই কারণে রিসিভ সেকশনে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন শুভেন্দু। তার পর তিনি পদত্যাগ পত্র ইমেল করেন অধ্যক্ষকে। তবে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে কিনা সেই বিষয়ে ভেবে দেখবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ইস্তফাপত্র দেখালেও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি শুভেন্দু। বরং সোজা বেরিয়ে গিয়েছেন বিধানসভা থেকে নিজের গাড়িতে।

Advertisement
Advertisement

তার পদত্যাগ নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন, “এক বছর আগে থেকেই বিজেপির সাথে যোগাযোগ ছিল শুভেন্দুর। এতদিন যা চলছিল তার সব একটা খেলার অংশ ছিল। আমি অনেকদিন আগেই এটা বুঝে ছিলাম তাই আমি দিদিমণিকে বলেছিলাম। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। এখন সে বুঝতে পারছি আমার সব বলা কথা সত্যি ছিল।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button