দেশনিউজ

এখনও চলছে উত্তরখন্ডে উদ্ধারকাজ, মৃত বেড়ে ৩৮

Advertisement
Advertisement

চামোলি: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলিতে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের পর থেকে আজ, শনিবার (Saturday) অবধি জানা গিয়েছে প্রায় ১০টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নিখোঁজের তালিকায় আছে আরও ১৬০ জন। গত রবিবার (Sunday) ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের খবর পাওয়ার পরই এনডিআরএফ (NDRF) এবং এসডিআরএফের (SDRF) দলকে ঘটনাস্থলে পাঠায় উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand Govt)।

Advertisement
Advertisement

তুষারধস, হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে এখনো চলছে উদ্ধারকাজ। বিপর্যয়ের পর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩৮ জনের দেহ। গতকাল, শুক্রবার আরও ২ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর, প্রশাসনের কাছে হৃষিগঙ্গা ভ্যালি এখন একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভ্যালির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন বিশেষজ্ঞরা। সেই তথ্য নিয়ে পরীক্ষা করে তারা রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য সরকারের কাছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে পৃথক দল গঠন করে পর্যবেক্ষণে যাবে বলে অনুমতি চেয়েছে ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজি।

Advertisement

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত বলেন, “আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। রাজ্য সরকার নজরদারি চালানোর জন্য উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করছে।” তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৪০০ মিটার বেড়েছে হৃষিগঙ্গার জলস্তর। কিন্তু গভীরতা এখনও জানা নেই। জল স্বচ্ছভাবে বোঝা যাচ্ছে না তাই সতর্ক হোন কিন্তু প্যানিক করবেন না।

Advertisement
Advertisement

উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে তুষার-বিপর্যয়ে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্প। আরেকদিকে, জোশীমঠের কাছে বানের জলের তোড়ে একাধিক সেতু ভেঙে গিয়েছে। তা দ্রুত মেরামত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। এই উদ্ধারকাজ সামিল হয়েছেন আইটিবিপিও। সুকি, লাটা, ভালগাঁও গ্রামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, রেশন দিয়ে সাহাজ্য করেছে তারা। অন্ধকূপ থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করেছে আইটিবিপি। এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে যথেচ্ছ নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যুৎ প্রকল্প। তার জন্য নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হওয়া। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে বিপর্যয়ের জন্য এই সমস্ত কারণকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button