Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

মুরগির মধ্যে পাওয়া গেছে করোনা ভাইরাস, গুজব ছড়িয়ে এক ট্রাক মুরগিকে জীবিত কবর

মুরগি খাওয়ার ফলে করোনা রোগটি হচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় হু হু করে কমতে শুরু করে মাংসের দাম। এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তাই মুরগির সাথে এই…

Avatar

মুরগি খাওয়ার ফলে করোনা রোগটি হচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় হু হু করে কমতে শুরু করে মাংসের দাম। এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মাংস ব্যবসায়ীদের। তাই মুরগির সাথে এই নোভেল ভাইরাসটির সংক্রমণ যে কোনওভাবে যুক্ত নয় এবং আশঙ্কা যে একেবারে ভিত্তিহীন তা বোঝাতে, কর্নাটকের বেলাগাভি জেলার গোককের এক কৃষক এক ট্রাক মুরগিকে জীবিত কবর দেন। সোমবার গোকাকের নুলসুরের একটি বড় গর্তে ফেলে দেওয়ার আগে নাজির আহমেদ মাকান্দার প্রায় ৬০০০ মুরগি একটি ট্রাকে বোঝায় করে নিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে পাখিদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্তের জন্য প্রচুর ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, মুরগি প্রতিপালনের পর তা কেজি প্রতি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছিল। তাঁর মতে, আগের তুলনায় দাম ৫ থেকে ১০ টাকা নেমে গেছে, এমনই জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

মুরগিগুলিকে গর্তে কবর দেওয়ার একটি ভিডিও রেকর্ড করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। নাজির গোকাকের একটি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক। অন্য একটি ঘটনায়, রামচন্দ্র রেড্ডির মালিকানাধীন কোলার জেলার বাঙ্গারপেট এলাকায় একটি খামারে ৯৯০০ টি বাচ্চা মুরগিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ডেকান হেরাল্ড। মুরগি নিধনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০,০০০ টাকা লোকসানের কথা উল্লেখ করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর একটি সংস্থা।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now
আরও পড়ুন : করোনা আপডেট : ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬২

যখন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে তখন থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে প্রচারিত এমন একটি ভাইরাল বার্তা পুলিশের নজরে পড়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে ‘হাই এলার্ট: আজ বেঙ্গালুরুতে পাওয়া গেছে করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত মুরগি। দয়া করে বার্তাটি প্রচার করুন এবং মুরগির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনার প্রিয়জনদের কাছে এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন।’ যদিও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন যে, ভাইরাসটি সংক্রামিত ব্যক্তি বা বাহক (যারা ভাইরাসে সংক্রামিত হয় তবে তারা নিজেরাই সুস্থ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায় না) থেকে বায়ু ফোঁটগুলির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

About Author