নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“এই তৃণমূল আর সেই তৃণমূল নেই, তাই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই”, – তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী

Advertisement

এবার তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা বিধায়ক মিহির গোস্বামী। একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এরকমই ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন। ফেসবুকে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে মিহির বাবু অভিযোগ করলেন, তৃণমূল আর আগের মত নেই। তাই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের মধ্যে তিনি বারবার অপমানিত হয়েছেন। আর এর জন্য তিনি রাজ্য নেতৃত্তের মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি ঘোষণা করেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই।” আর এই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন মিহির। তাহলে এবার একই পাকাপাকিভাবে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?

ফেসবুকে তিনি এদিন পোস্ট করেছেন,” গত ৩ অক্টোবর তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলাম। সঙ্গে জানিয়েছিলাম, দলনেত্রীর নির্দেশ পেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত। তারপর, দীর্ঘ দুই মাস ধরে আমি নিজের বিবেক এবং যুক্তিবোধের চিন্তন মন্থন করেছি। আমার ভাবনা আমি প্রত্যেকদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছি। আপনাদের সঙ্গে সেখানে যোগাযোগ রেখেছি। যেসব মানুষ আমার ভাবনাকে যুক্তিযুক্ত ভেবে স্বাগত জানিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আরো একবার বলি, গত ১০ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত এবং অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নিরব এবং প্রচ্ছন্ন মদদ যুগিয়েছিলো।

আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করছি, ২২ বছর আগে যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম সেই তৃণমূল কংগ্রেসে আমার জায়গা আর নেই। আমি এই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নিজের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। আমি আশা রাখছি আমার দীর্ঘদিনের সাথী বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ীরা এই সিদ্ধান্তের জন্য আমাকে মার্জনা করবেন।”

এর আগেও দলীয় নেত্রী তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে মিহির গোস্বামী ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি আগেও জানিয়েছিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস এখন আর দিদির হাতে নেই। অন্য লোকে এখন তৃণমূল কংগ্রেস চালাচ্ছে। তাই তিনি দল ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এর আগেও। এরপর আবারও তিনি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে মিহির গোস্বামীর অব্যাহতি নেওয়ার সম্ভাবনা আরো জোরালো হয়ে গেল।

Related Articles

Back to top button