Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

৩৩০ টি ড্রোনের সাহায্যে হবে করোনা ভাইরাস মুক্ত, জানালো চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - যুদ্ধ হয়, দুর্ভিক্ষ হয় তাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু কোনো রকম শব্দ না করে, রক্তপাত না ঘটিয়ে কি করে একটি ভাইরাস এতগুলো মানুষের প্রাণ নিয়ে নিতে…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – যুদ্ধ হয়, দুর্ভিক্ষ হয় তাতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু কোনো রকম শব্দ না করে, রক্তপাত না ঘটিয়ে কি করে একটি ভাইরাস এতগুলো মানুষের প্রাণ নিয়ে নিতে পারে, তা সত্যিই না দেখলে বিশ্বাস হত না। করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে দাবানলের মত হয়ে গেছে। শুরুটা চীন থেকে হলেও, এটি এখন ইতালি, আমেরিকা এমনকি ভারতবর্ষে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ভাইরাসটি এতটাই কাছে যে গোটা বিশ্বের মানুষ কার্যত গৃহবন্দি।

অনেক মানুষই বেছে নিয়েছেন work-from-home এই বিষয়টিকে কিন্তু যে সমস্ত মানুষদের বাইরে বেরোতে হবে অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স, শহরাঞ্চল পরিষ্কার করার জন্য যে সমস্ত সহকারি ব্যক্তিরা আছেন তাদের প্রত্যেককে বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে। তারা রাত্রি দিন এক করে প্রত্যেকে চেষ্টা করে চলেছেন কি করে ভারতবর্ষকে বা বিভিন্ন দেশকে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করা যায়। তবে যে সমস্ত ব্যক্তিরা রাস্তাঘাটে করোনা ভাইরাস মুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজার স্প্রে করছেন তাদের বিকল্প হিসাবে চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার অগ্নিশ্বর জয়প্রকাশ আরে ৩৩০ টি ড্রোনের সাহায্যে শহরাঞ্চল কে ভাইরাস মুক্ত করার চেষ্টা করছেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

Garuda Aerospace এর প্রেসিডেন্ট অগ্নিশ্বর এই ড্রোনটি অনেকদিন আগেই তৈরি করেন। তবে এই মুহূর্তে ড্রোনটি কাজে লাগানো হয়েছে রাজীব গান্ধী গভর্মেন্ট জেনারেল হসপিটাল এ। সকাল ছটা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত চার ঘণ্টার ব্যবধানে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। অগ্নিশ্বর জানাচ্ছেন, এখনই ভাইরাসটিকে মুক্ত করাই আমাদের একমাত্র কাজ। যতটা সম্ভব এই ভাইরাস মুক্ত হওয়ার জন্য যে সমস্ত ব্যক্তিরা নিযুক্ত আছেন তাদেরকে যত কম কাজে লাগানো যায় ততই মঙ্গল। আর সেই জন্যই এই ধরনের ব্যবস্থা। প্রথমে তিনি জানান, প্রথমে তারা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন, তারপরের দিন রাজীব গান্ধী গভর্মেন্ট জেনারেল হসপিটাল থেকে এই ড্রোনের সাহায্যে স্প্রে করার অনুমতি পান।

৩৩০ টি ড্রোনের সাহায্যে হবে করোনা ভাইরাস মুক্ত, জানালো চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

৩৩০ টি এর মধ্যে ৩০০ টি প্রায় ১০ লিটার এবং ৩০ টি এক লিটার করে স্যানিটাইজার বহন করার ক্ষমতা রাখে। তবে সব ড্রোনগুলো তাদের নিজস্ব না, বেশ কিছু অন্যদের থেকে তারা নিয়েছেন। এগুলি যেমন যেমন কাজ করবে তেমন তেমন টাকা তাদেরকে দেওয়া হবে। তবে তারা এমনটাও জানায় যে রাজীব গান্ধী গভমেন্ট হসপিটাল এর সাথে সাথে তারা আরও ৩০ টি বড় সরকারি হাসপাতালে কাজ করতে চায় তামিলনাড়ুতে। তবে অগ্নিশ্বর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কথার দিকে জোর দেন তার মতে এই ড্রোনের সাহায্যে শুধুমাত্র স্যানিটাইজার নয় এই ড্রোনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাদ্যদ্রব্য পাঠানোর ব্যবস্থা কাজ শুরু করা উচিত।

যদি সত্যিই এটা ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যায়, তাহলে ক্ষতি কি! যে মানুষগুলো রাস্তাঘাট পরিষ্কার করছে, তারাও তো মানুষ আমরা যদি একবার ভাবি তাদের ও তো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে কিন্তু তারা নিজেদের জীবনকে উপেক্ষা করে কাজগুলি করে চলেছেন, কিন্তু একটি ড্রোনের পক্ষে যদি এই কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব হয় তাহলে তো ক্ষতি নেই।

About Author