Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

১২৮ জন মহিলাকে পাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন সুনীল শেট্টি, জানুন অজানা কাহিনী

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - বলিউডের অ্যাকশন হিরো হিসেবে পরিচিত মুখ হলেন সুনীল শেট্টি। একটা সময় একটার পর একটা হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আপনি কি জানেন? আপনার এই পছন্দের নায়ক…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বলিউডের অ্যাকশন হিরো হিসেবে পরিচিত মুখ হলেন সুনীল শেট্টি। একটা সময় একটার পর একটা হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আপনি কি জানেন? আপনার এই পছন্দের নায়ক ১২৮ জন মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছেন। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৬ সালে। এখনো যা অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে বলেছিলেন, চারিমায়া তামাং নামে এক নারী। যিনি ওই ১২৮ জন নারীর মধ্যে ছিলেন। তিনি জানান, “যখন সরকার বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন আমাদেরকে কি করে উদ্ধার করবেন, সেই সময় হাজির হন ভারতের অভিনেতা সুনীল শেট্টি।” ১৯৯৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি মুম্বাই পুলিশ কামাথিপুরা রেডলাইট এলাকা থেকে ৪৫৬ জনকে উদ্ধার করেন।

যাদের বয়স ১৪ – ৩০ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ১২৮ জন এসে ছিলেন নেপাল থেকে। এই নারীদের কোন রকম নাগরিকত্ব প্রমাণ ছিলনা। নেপাল সরকার তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নারাজ ছিল। যখন এই সময় প্রত্যেকেই একটা অন্য পথ খুঁজছেন, কিভাবে এই মহিলাদের কাঠমান্ডুতে ফেরত পাঠানো যায়, ঠিক সেই মুহুর্তে এই খবরটি সুনীল শেট্টির কানে গিয়ে পৌঁছায়।একেবারে সিনেমার নায়কের মত আবির্ভূত হন তিনি। এই সমস্যার সমাধানের জন্য নিজেই হাত বাড়িয়ে দেন। আকাশ পথে ফেরানোর চেষ্টা করেন তিনি। ১২৮ জন মহিলার বিমানের টিকিট কেটে দেন, যাতে তারা নিরাপদে তাদের বাড়ি পৌঁছাতে পারেন। এ বিষয়ে সুনীল শেট্টি মুম্বাই পুলিশ এবং তার শাশুড়ি মা বিপুলা কাদরীকে যিনি ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ নামে একটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত আছেন, ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী তাকে টুইটারে কংগ্রাচুলেশন জানিয়েছেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

সুনীল জানিয়েছেন, “চারিয়ামা তামাং পাচার হওয়া নারীদের নিয়ে নিজস্ব একটি সংগঠন তৈরি করেছেন, আস্তে আস্তে এই সংস্থাটির বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে। আমার জন্য এটি একটি অসাধারণ মুহূর্ত।” চারিমায়ার এই সংস্থাটির নাম ‘শক্তিসমূহ’। যা শুরু হয়েছিল ১৫ জন নারীকে নিয়ে। এখন সেখানে ১০০ বেশি নারী বাস করেন। বিশ্বব্যাপী এর বিস্তৃতি লাভের জন্য ২০১৩ সালে ‘রেমন মাগসেসে আওয়ার্ড’ পান। ১২৮ জন নেপালি নারীর জীবন বাঁচিয়েছেন সুনীল শেট্টি। পর্দায় যতই তিনি দুষ্টু লোকেদের মেরে নাক, মুখ ফাটিয়ে দিক না কেন, আসলে কিন্তু তিনি এমন মারপিট করেননা। এমন কাজটি করে তিনি অসাধারণ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। যাদেরকে তিনি বাঁচিয়েছিলেন তারা আজ নিজেদের মতন করে জীবনটাকে গড়ে পিঠে নিয়েছেন। পৃথিবীটা তাদের কাছে আরেকটু সুন্দর হয়ে উঠেছে।

About Author