Rajkummar- Patralekhaa: বাঙালি বউ আর পঞ্জাবি বর! রাজকুমার-পত্রলেখার হাইপ্রোফাইল বিয়েতে এলাহি আয়োজন

Advertisement

Advertisement

চলতি মাসের শুরুতেই বলিউডে জোড় গুঞ্জন শুরু হয় রাজকুমার রাও আর পত্রলেখা বিয়ে করছেন। গত সোমবারই আর রিল নয় আসল ‘স্ত্রী’-র হাতে শেষমেশ ধরা দিলেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও। পাত্রী বাঙালিনি পত্রলেখা। সোমবার চণ্ডীগড়ে ৮০০ একর প্রাকৃতিক জঙ্গলের মধ্যে নির্মিত দ্য ওবেরয়’স কোহিনূর ভিলায় সাত পাকে বাধা পড়লেন এই লাভ বার্ডস। ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে মহা ধূমধামে চার হাত এক হল দুই সেলিব্রেটির। ১১ বছরের প্রেমের পর জীবনসঙ্গীনী অবশেষ বিয়ের বাঁধনে আবদ্ধ হলেন রাজকুমার রাও আর পত্রলেখা।

Advertisement

পত্রলেখা বলিউডে অভিনয় করলেও তিনি পুরোদস্তুর বাঙালী। অন্যদিকে পাঞ্জাবি মুন্ডা হলেন রাজকুমার। দুজনের বিয়ের দিন পাঞ্জাবি আর বাঙালী ঘরানা মিলে মিশে যায়। বিয়ের নববধূ লাল রঙের ভারি কাজের শাড়ি, মাথায় ওড়না, মাঙ্গটিকা, নাকে নথ, হাতে আলতা, মাথায় সিঁদুর, শাঁখা-পলা। অভিনেত্রীর মাথায় ওড়নায় আবার লেখা ছিল, ‘আমার পরান ভরা ভালবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’। অভিনেত্রী নিজের স্পেশ্যাল দিনে সনাতনী রাজরাণীর সাজে সেজেছিলেন। আর এই সাজের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সব্যসাচী। অন্যদিকে বরমশাই নিজের বিয়ের জন্য ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানির সাথে গোলাপি ওড়না নিয়েছিলেন । মাথায় লাল পাগড়ি আর কপালে কুমকুম।

Advertisement

Advertisement

এই হাইপ্রোফাইল বিয়ের খবর নিয়ে চুমুল চর্চা চলছিল বলিউডে। চন্ডীগড়ে বিয়ে হচ্ছে একথা জানা থাকলেও, নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে গোলমাল চলছিল। তবে রবিবার রাতেই একটা নিমন্ত্রণ পত্র নেট দুনিয়াতে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতে জানা যায় চন্ডীগড়ের ওবেরয় গ্রুপের রিসর্টে বিয়ে করছেন এই তারকা দম্পতি। তারিখ ১৫ অক্টোবর। তারপর সেদিন রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করেন দুজনে।

বিয়ের সাজ,ভেন্যু সবই জানা গিয়েছে। এবার জানা যাক অতিথিদের পেট ভরাতে কী কী ছিল বিয়ের মেনুতে। এদের বিয়ের এলাহি খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল ওবেরয় সুখবিলাস স্পা রিসর্টে। জানা গিয়েছে এদিন পঞ্জাবি আর বাঙালি দু’ধরনের খাবারই ছিল সকল অতিথিদের জন্য। এমনিতেও এই স্পা-রিসর্টের তিনটি ডাইনিংয়ে তিন ধরনের খাবার পরিবেশিত হয় অতিথিদের। অনন্ত মহলে গেলে অতিথিরা খেতে পারবেন নিরামিষ বা আমিষ পঞ্জাবি থালি, ভারতীয় ক্লাসিক ডিশ, অমৃতসরী খাবার, স্যুপ, পিজ্জা এবং রিসটো। কাননের স্পেশ্যালিটি কানন কাবাব থালি ছিল। এছাড়া রৌনক বারে নানা ধরনের মকটেল, স্ন্যাক্স, চা-কফি ও হার্ড ড্রিঙ্ক পাওয়া গিয়েছে।

Recent Posts