কলকাতাপলিটিক্সরাজ্য

Bengal Bjp: একটি কাউন্সিলর টিকিটের দাম ১ লক্ষ! অডিও প্রকাশ্যে আসতে তোলপাড়া বঙ্গ রাজনীতি

Advertisement
Advertisement

রবিবার ছুটির দিনে বিকেকে একটি অডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হয়। আর সেই অডিও পুরসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহল পুরো সরগরম। এই ভিডিও ঘিরে ফের বিতর্কের বঙ্গ রাজ্য বিজেপি। এই অডিও ক্লিপিংস তৃণমূলের হয়ে টুইট করা হয়েছে। আর তাতে শোনা যাচ্ছে, জনৈক বিজেপি নেতা প্রীতম সরকার পুরভোটের টিকিট বিক্রি করছেন টাকার বিনিময়ে। এমনকি এই অডিওতে শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকেও টেনে এনেছেন প্রীতম। অবশ্য গোটা ঘটনায় তাঁর যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।     

Advertisement
Advertisement

আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট হতে চলেছে। আর এই নির্বাচনের আগে বিজেপিতে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা প্রীতমের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের টুইট করা ভিডিয়োয় শোনা যাচ্ছে, আসন পিছু ১ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি শাসক দলের সঙ্গে সেটিং করে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন বিজেপি নেতা। তৃণমূল টুইট করে লিখেছেন,”প্রার্থী পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অপপ্রচার চালাতে এভাবে টাকা তোলেন সুকান্ত মজুমদার? ভয়ঙ্কর!’

Advertisement

Advertisement
Advertisement

এমনকি এই ক্লিপিংসে শোনা গেল আসন পিছু ১ লক্ষ টাকায় রফা করতে সুকান্ত মজুমদারের সম্মতি নিতে হবে বলে দাবি করছে বিজেপি নেতা। অবশ্য নিজের হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাফাইতে বলেছেন ,”রাস্তায় কেউ যদি বলে সুকান্ত মজুমদারকে টাকা দিয়ে দেব চাকরি হয়ে যাবে, তাহলে মেনে নেবেন? বিজেপি প্রার্থীপদ একজন ব্যক্তি ঠিক করে না। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পরিকল্পনা তৃণমূলের। ওই ব্যক্তি আগে তৃণমূল করত।”  

তথাগতর পুরনো টুইট এইদিন স্মরণ করিয়ে বিঁধেছেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন,”একটি ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই না করে মন্তব্য করা এক্কেবারে অনুচিত। টাকা লেনদেনর বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন তথাগত রায়ের মতো প্রবীণ নেতা। বিধানসভা ভোটের আগে টাকার ব্যবহার হয়েছে এদের-ওদের নিতে। আগের দফায় শুনেছিলাম প্যাকেজে এসেছিল।”

উল্লেখ্য, প্রীতম সরকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। জানা গিয়েছে কিছুদিন আগে দিল্লিতে এক মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে শংকর শিকদার এবং শশী অগ্নিহোত্রীকে দিল্লিতে যাওয়ার যাবতীয় খরচ করেছিলেন প্রীতম।কয়েকদিন আগে তথাগত রায় টুইট করে অভিযোগ করেছিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা। এবার খোদ দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থীর টিকিট দেওয়া নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। অবশ্য এই টাকার লেনদেন ব্যপারে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জানিয়েছিলে,”যিনি বলছেন তাকে প্রমাণ করতে হবে আর্থিক কেলেঙ্কারি কীভাবে হয়েছিল?”

Advertisement

Related Articles

Back to top button