Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

দেশের সবথেকে সস্তা বৈদ্যুতিক গাড়ি এসে গেল মার্কেটে, পাওয়া যাবে এক চার্জে ২৩০ কিলোমিটার রেঞ্জ

এখনকার দিনে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক যানবাহন বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি স্টার্টআপ কোম্পানি রয়েছে যারা দুই চাকার তিন চাকার এবং চার চাকার গাড়ি তৈরি…

Avatar

এখনকার দিনে ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক যানবাহন বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ভারতে প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি স্টার্টআপ কোম্পানি রয়েছে যারা দুই চাকার তিন চাকার এবং চার চাকার গাড়ি তৈরি করছেন। তবে শুধু স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি নয় ভারত এবং সারা বিশ্বের বড় বড় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলিও কিন্তু এই ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো মরিস গ্যারাজ ওরফে এমজি মোটরস। সম্প্রতি এই কোম্পানিটি একটি নতুন ইলেকট্রিক ভেহিকেল লঞ্চ করেছে যার নাম দেওয়া হয়েছে MG COMET EV। বক্সি ডিজাইন, দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য এবং দীর্ঘ পরিসরের পাশাপাশি কম দাম হওয়ার কারণে এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে এই গাড়িটি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। চলুন তাহলে এই নতুন গাড়ির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

কোম্পানি এই গাড়িটিকে তিনটি ভেরিয়েন্টে লঞ্চ করেছে। এই তিনটি ভেরিয়েন্ট হলো যথাক্রমে PACE, PLAY, PLUSH। এই গাড়িগুলির প্রারম্ভিক মূল্য ৭.৯৮ লক্ষ টাকা এবং শীর্ষ মডেলের দাম ৯.৯৮ লক্ষ টাকা। কোম্পানি এই মুহূর্তে ডুয়াল টোন এবং তিনটি মোনো টোন কালার অপশন সহ বাজারে এই গাড়ি নিয়ে এসেছে। আপনি ডুয়াল কালার টোন অপশনে অ্যাপেল গ্রিনের সঙ্গে স্টারি ব্ল্যাক এবং ক্যান্ডি হোয়াইট এর সঙ্গে স্টারি ব্ল্যাক বিকল্প পেয়ে যাবেন। এছাড়াও মনোটোন কালার অপশনের মধ্যে অরোরা সিলভার, ক্যান্ডি হোয়াইট এবং স্টারি ব্ল্যাক রয়েছে। তবে এই গাড়ির সবথেকে বড় ব্যাপারটি হলো এই গাড়িটি কিন্তু দুই দরজার গাড়ি।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

কোম্পানিটি এই গাড়িতে ১৭.৩ কিলোওয়াট ঘণ্টার একটি ব্যাটারি প্যাক দিয়েছে। এই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সাথেই পিছনের চাকায় বৈদ্যুতিক মোটর ইনস্টল করা হয়েছে যা ৪২ ps শক্তি এবং ১১০ নিউটন মিটার সর্বাধিক টর্ক তৈরি করে। এই ব্যাটারী প্যাক এর জন্য একটি ৩.৩ কিলোওয়াট চার্জার দেওয়া হয়েছিল এবং কোম্পানি জানাচ্ছে এই চার্জারটি সাত ঘন্টার মধ্যে পুরো ব্যাটারি চার্জ করতে পারে। যদি একবার পুরো ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায় তাহলে এই গাড়িতে আপনারা ২৩০ কিলোমিটারের ড্রাইভিং রেঞ্জ পেয়ে যাবেন। এ সাথেই পেয়ে যাবেন ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা সর্বোচ্চ গতি।

বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কোম্পানির এই গাড়িতে আপনারা বসার জন্য চারটি আসন পেয়ে যাবেন। এছাড়াও রয়েছে ১০.২৫ ইঞ্চি ডুয়াল ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল স্ক্রিন সেটআপ, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কারপ্লে সংযোগ, সেকেন্ড ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে, এলইডি হেড লাইট এলইডি টেল লাইট, কি লেস এন্ট্রি এবং ৫৫টিরও বেশি কানেক্টেড ফিচার। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ডুয়াল এয়ার ব্যাগ, অ্যান্টিলক বেকিং সিস্টেম, রিভার্স পার্কিং ক্যামেরা এবং পিছনের পার্কিং সেন্সর। সব মিলিয়ে এই গাড়িটি ভারতের সাধারণ মানুষকে দারুন ভাবে সাপোর্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

About Author