![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2019/11/1-1.jpg)
অরূপ মাহাত: মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল ঘোষণার পর দেখা যায় সরকার গঠনে পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই কোন দলেরই। প্রায় তিন সপ্তাহ সরকার গঠনে টালবাহানা চলার পর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশারী। তবে তখন থেকেই বিরোধীরা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিজেপিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।
রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিল শিবসেনা। তার মাঝেই ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস নেতৃত্ব সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে স্বস্তিতে নেই তারা। সরকার গঠনে এতদিন বিজেপির অস্বাভাবিক নীরবতা ভেঙে অমিত শাহের মন্তব্যে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছে বিরোধীরা।
মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপিকে বাইরে রেখে কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।’ এরপরই জল্পনা ছড়ায় তাহলে মহারাষ্ট্রেও কি কর্ণাটকের স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগাতে চলেছে বিজেপি। বিরোধী দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে সরকার গঠনে অমিত শাহ সিদ্ধহস্ত। সেই আভাস পেয়েই বিজেপিকে চূড়ান্ত আক্রমণ করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে।
অমিত শাহের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘বৃহত্তম দল হিসেবে রাজ্যপালের ডাক পেয়েও যারা সরকার গঠন থেকে পিছিয়ে আসে তারা হঠাৎ করে এতটা আত্মবিশ্বাস পায় কী করে? এর থেকে বোঝা যায় বিজেপি টাকার বিনিময়ে বিধায়ক কেনার চেষ্টা করছে।’ তবে এ বিষয়ে অমিত শাহ সফল হবে না বলেই জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান।