পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান খরচে যখন সাধারণ মানুষ হাঁসফাঁস করছেন, তখন নতুন আশা জাগাল Tata-এর ইলেকট্রিক সাইকেল। আধুনিক প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য এবং কিফায়তি দামে বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছে এই সাইকেল। শহরের যানজটপূর্ণ রাস্তায় ছোট দূরত্বের জন্য এটি ভবিষ্যতের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠতে চলেছে।
Tata Electric Cycle-এর ডিজাইন
নতুন এই ইলেকট্রিক সাইকেলটি হালকা অথচ শক্তপোক্ত ফ্রেমে তৈরি। ফলে একদিকে টেকসই, অন্যদিকে চালাতে সুবিধাজনক। স্পোর্টি হুইলস এবং আকর্ষণীয় রঙের অপশন বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে এই সাইকেলকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারে। এর মডার্ন লুক রাস্তায় আলাদা মাত্রা যোগ করবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপারফরম্যান্স ও ব্যাটারি
এই সাইকেলে ব্যবহার করা হয়েছে হাই-ক্যাপাসিটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, যা একবার চার্জে ৬০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। চার্জ হতে সময় লাগে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। টপ স্পিড ঘণ্টায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার, যা শহরের ভিড় এবং দৈনন্দিন ছোট সফরের জন্য যথেষ্ট।
স্মার্ট ফিচার
সাইকেলটিতে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে, যেখানে ব্যাটারির অবস্থা এবং স্পিড সহজেই দেখা যায়। পেডাল-অ্যাসিস্ট এবং থ্রটল— দুটি মোডই দেওয়া হয়েছে, যাতে চালানোর অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক হয়। পেডাল-অ্যাসিস্ট ব্যবহারে কম পরিশ্রমে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা সম্ভব।
সুরক্ষা ও আরাম
সেফটির কথা মাথায় রেখে এই সাইকেলে ডিস্ক ব্রেক যুক্ত করা হয়েছে, যা হঠাৎ ব্রেক করার সময়ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দেয়। ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং আরামদায়ক সিট দীর্ঘ যাত্রাতেও ক্লান্তি কমায়। ফলে এটি শুধু তরুণদের জন্য নয়, বরং মধ্যবয়সী ও প্রবীণদের কাছেও সমান কার্যকরী পরিবহন হয়ে উঠতে পারে।
দাম ও প্রাপ্যতা
ভারতীয় বাজারে Tata Electric Cycle-এর দাম রাখা হয়েছে আনুমানিক ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০। এই দামে এটি এমন গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত, যারা একদিকে পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান খরচ এড়াতে চান এবং অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে চান। ভারতের ইলেকট্রিক মোবিলিটি খাতে দ্রুত বাড়ছে চাহিদা। Tata Electric Cycle সেই ধারা আরও জোরদার করতে চলেছে। পরিবেশবান্ধব, ঝামেলাহীন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে এটি সাধারণ মানুষের কাছে যাতায়াতের এক নতুন বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।