যবে থেকে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে তারপর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার একটা জল্পনা এবং একটা হিড়িক শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতারা এবারে তৃণমূলে যোগদান করতে শুরু করেছেন। মুকুল রায় থেকে শুরু করে আরো বহু নেতা যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন একটা সময়ে তারা আবারো ফিরে আসছেন তৃণমূলে। বহু বিজেপি বিধায়ক এই দলবদলে লাইনে রয়েছেন। মুকুল রায় নিজেও কিরে আসার সময় এই একই মন্তব্য করেছিলেন। এবারে সেই মন্তব্য কিছুটা মান্যতা পেতে শুরু করল যখন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক কলকাতার তৃণমূলের ক্যামাক স্ট্রীট এর অফিসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে শাসক দলে নাম লেখালেন।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তন্ময় ঘোষ বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসে বললেন, ‘বিজেপি বাংলা সংস্কৃতি বোঝেনা, বরং যারা বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করতে চাইছে। এই কারণেই বাংলার মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি বিজেপির সকল জনপ্রতিনিধিকে বলছি, আপনারা ওই দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন না। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের শামিল হওয়া উচিত।’
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতন্ময় ঘোষ ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। যখন একাধিক জায়গায় দলবদলে প্রসঙ্গ উঠে আসছিল, তখন সবার আগে নাম উঠেছিল তন্ময় ঘোষ এর। প্রায় সব সময় তাকে নিয়ে একের পর এক বিতর্ক চলতেই থাকে। এই বিধায়ক দলের অন্য কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু তারপরে দেখা যায় তিনি সরাসরি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে তৃণমূলে যোগদান করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। বর্তমানে তাকে নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আসা মাত্রই তিনি নিজের কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। মুকুল রায় আসার পরেই ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস নতুন অক্সিজেন পেয়েছে। সুদীপ রায় বর্মন, সুস্মিতা দেব সহ আরো অনেকেই বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। আর সেই দলবদল এর ধারা অব্যহত রইল বাংলাতেও, যে ধারার নবতম সংযোজন হলেন বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।