“He was a practicing prophet”, উক্তিটি ভারতের এক প্রাক্তন আই পি এস অফিসার ড: কিরণ বেদির। যথার্থ অর্থেই এই উক্তি। স্বামী বিবেকানন্দ এক ক্ষণ জন্ম, এক বিস্ময়। ভারতীয় দর্শন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। স্বামীজীর তুলনা স্বামীজী নিজেই।
১৮৬৩ সালে জন্মের পর বহু বছর পার করে, যখন ঈশ্বরের অস্তিত্বের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ঠিক তখনই যুগাবতার শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ তাঁর জীবনে স্বমহিমায় উপস্থিত হলেন, এক মহৎ কার্য চরিতার্থ করবার অভিপ্রায়! দিবস অতিবাহিত হতে থাকে। ঠাকুরের বীজ মন্ত্রকে একমাত্র অবলম্বন করে বেড়িয়ে পড়লেন বিশ্বজয় করবার উদ্দেশ্যে। এক সুগভীর অভিলাষ মাত্র- ভারতকে জগৎ মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের আসন প্রদান করা। কথা রেখেও ছিলেন। ১৮৯৩, শিকাগো। এক বৃহৎ ধর্মসভার আয়োজন। ঝড় তুললেন। প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সাত হাজার মানুষের হাততালি, প্রশংসা ও সমর্থন স্বামীজীকে সেদিন তাঁর স্বপ্নকে স্বার্থক করে তুলতে সাহায্য করেছিল। এই বিশ্বজয়ের পর ফিরে আসেন ভারতের এই পুন্যভূমিতে। প্রতিষ্ঠিত করলেন বেলুড় মঠ। সূচিত হল এক নব অধ্যায়। দেশবাসী ধন্য হল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowউনচল্লিশ বছরের এক সংক্ষিপ্ত জীবন। এক পরম যোগী। এক পরম স্রষ্টা। এক পথপ্রদর্শক। এক নির্ভীক চিত্ত। এক অনুপ্রেরণা। হিমালয় পর্বতসম এক ব্যাক্তিত্ব। তিনি স্বামীজী। তিনি বিবেকানন্দ। তিনি এই ধরণীর মানষ পুত্র। ঠাকুরের পরম আদরের নরেন।
– কুণাল রায়।