ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে সুজুকি, আর সেই সূত্রেই সংস্থার প্রথম ই-স্কুটার Suzuki e-Access আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হতে চলেছে জুন ২০২৫-এর শেষ নাগাদ। ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামের প্ল্যান্টে উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই স্কুটারটি নিয়ে গ্রাহকদের আগ্রহ তুঙ্গে, কারণ এতে রয়েছে একাধিক আধুনিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দাম। স্কুটারটি চলবে ৩.০৭ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন Lithium Iron Phosphate (LFP) ব্যাটারিতে, যা একবার চার্জে সার্টিফায়েড ৯৫ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসুজুকির এই নতুন মডেলে দেওয়া হয়েছে ৪.১ কিলোওয়াটের ইলেকট্রিক মোটর, যা ১৫ নিউটন মিটার টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৭১ কিমি পর্যন্ত যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণ চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা ৪২ মিনিট, আর ফাস্ট চার্জিং মোডে সময় কমে দাঁড়ায় ২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে।
স্কুটারটির ফিচার তালিকাও বেশ চমকপ্রদ। থাকছে ৪.২ ইঞ্চির TFT LCD ড্যাশবোর্ড, যেখানে রাইড সংক্রান্ত সব তথ্য দেখা যাবে। সঙ্গে রয়েছে Suzuki Ride Connect-E অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে থাকছে তিনটি রাইডিং মোড: ইকো, রাইড A ও রাইড B+, যার মাধ্যমে যাত্রা হবে আরও স্মার্ট এবং কাস্টমাইজড। পেছনের দিকে চলাচলের জন্য আলাদা ‘রিভার্স মোড’-ও রাখা হয়েছে, যা টাইট পার্কিং স্পেসে দারুণ কাজে আসবে।
ডিজাইনের ক্ষেত্রেও নজর কাড়তে সক্ষম হতে চলেছে ই-অ্যাক্সেস। বাজারে তিনটি আকর্ষণীয় রঙে আসবে এই মডেল— ম্যাট ব্ল্যাক/ম্যাট রেড, পার্ল হোয়াইট/ম্যাট গ্রে এবং জেড গ্রিন/ম্যাট গ্রে।
এই বৈশিষ্ট্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে ই-অ্যাক্সেসের দাম ধরা হচ্ছে ১,০০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ এর মধ্যে। যেহেতু ইলেকট্রিক টু-হুইলারের চাহিদা এখন শিখরে, সেই বাজারে সুজুকির এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ):
১. Suzuki e-Access কবে বাজারে আসবে?
উত্তর: জুন ২০২৫-এর শেষের দিকে এটি ভারতে লঞ্চ হবে।
২. এই স্কুটারের রেঞ্জ কত?
উত্তর: একবার পুরো চার্জে স্কুটারটি ৯৫ কিমি পর্যন্ত চলতে পারবে।
৩. এর ব্যাটারি কত সময়ে চার্জ হয়?
উত্তর: সাধারণ চার্জারে ৬ ঘণ্টা ৪২ মিনিট এবং ফাস্ট চার্জারে ২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হয়।
৪. ই-অ্যাক্সেসে কী ধরনের প্রযুক্তিগত ফিচার রয়েছে?
উত্তর: রয়েছে TFT LCD ড্যাশবোর্ড, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, তিনটি রাইডিং মোড ও রিভার্স গিয়ার।
৫. এই স্কুটারের দাম কত হতে পারে?
উত্তর: সম্ভাব্য মূল্য ১,০০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ এর মধ্যে।