২০১২ সালে ২৩ বছরের ছাত্রীকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ ও খুন করে বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, মুকেশ সিং ও অক্ষয় ঠাকুর। এই চার অপরাধীর পয়লা ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে যায়। দিল্লি হাইকোর্টে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ফাঁসির শাস্তি। নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে দোষী চারজন মুকেশ সিংহ,বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর,পবন গুপ্তা কে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হলে সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়।
বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লির ট্রায়াল কোর্ট।সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে ফাঁসির শাস্তি। এই ঘটনায় দোষী আরেকজন রাম সিংহ অনেক আগেই তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেছে। আরেকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বেড়িয়ে গেছে আইনের বেড়াজাল টপকে। তিহাড় জেলে ফাঁসির প্রস্তুতি অনেকদিন আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়ে গেছে।চলে এসেছেন পবন জল্লাদ। সরকার নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট তা খারিজ করলে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : ৪৫ টিরও বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠনের পথে বিজেপি
চার অপরাধীকে নোটিশ পাঠানো হোক এটাই চেয়েছিল আদালত। তেমনটা হলে ফাঁসির প্রক্রিয়ায় আরও সময় লাগব বলে জানায় বিচারপতি আর ভানুমতীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সরকার পক্ষের আইনজীবী চায় এ ব্যাপারে এ বার হস্তক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রিয় সরকার নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনিকে পৃথকভাবে ফাঁসি দেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছিল আগামী মঙ্গলবার সেই পিটিশনের শুনানি দেবে সুপ্রিম কোর্ট।