Today Trending Newsনিউজরাজ্য

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, ফিরতে পারে বহু পরীক্ষার্থীর ভাগ্য

রাজ্য প্রাথমিক বোর্ডের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে

Advertisement
Advertisement

বাংলায় টেট পরীক্ষা মানেই একটা মামলার উৎপত্তি। এই ব্যাপারটি বেশ কিছু বছর ধরে বাংলায় চলেই আসছিল। কিন্তু এবারে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি করে দিল শীর্ষ আদালত। জানা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী এবং বিচারপতি আবদুল নাজিরের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা নিয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করলো। জানিয়ে দেয়া হলো, ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার নোটিশ বেরিয়েছিল। তাই যতই শীঘ্রই সম্ভব এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। অন্যদিকে, প্রাথমিক বোর্ড শীর্ষ আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই রাজ্যে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের জন্য টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে।

Advertisement
Advertisement

গত ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের টেট পরীক্ষার নোটিশ বেরিয়েছিল। সেই সময় অনেক পরীক্ষার্থী টেটে বসতে পারেননি বলে মামলা করেন। এই মামলা সরাসরি গিয়ে পৌঁছায় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের আদেশ অনুযায়ী অনেকে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন কিন্তু তাদের হাতে প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট না থাকায় তারা কোনভাবেই নিয়োগ হতে পারছিলেন না। রাজ্য সরকার আশা রাখছে যদি প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে এই সমস্ত সমস্যা থাকবে না। পাশাপাশি মামলার সংখ্যা কমবে বলে আশা রাখছে সরকারপক্ষ।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমনা চৌধুরি ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। ইমনার তরফ থেকে তার আইনজীবী আলী আহসান আলমগীর বলেন, “২০১৭ সালে এই টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল কিন্তু পরীক্ষা হয়েছিল ২০২১ সালে। মাঝখানে ৪ বছর যে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি সেখানে অনেকের অনেক অসুবিধা হয়েছে। এই সময়কালে অনেকে টেট পরীক্ষায় উপযুক্ত হলেও তাদেরকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এই কারণে শুধুমাত্র বয়স বেড়ে যাবার জন্য তারা বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারছে না। যদি সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা নিয়ে রায় দেয় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকতে পারে।”

Advertisement
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে এনসিটিই এর মামলা বহুদিন ধরে। তাদের প্রত্যেকে দাবি থাকে, রাজ্যের টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পরীক্ষায় এন সি টি ই এর কোন নিয়ম মানা হয় না। এর ফলে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন এর শংসাপত্র হাতে থাকলেও অনেকে কিন্তু টেট পরীক্ষায় বসতে পারেন নি। তবে পরীক্ষার্থীরা মনে করছে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের জন্য এবারে এই টেট পরীক্ষার দীর্ঘ সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button