গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশ জুড়ে। এমন সময় ব্যবসার নতুন দিগন্ত খুলছে সামান্য বিনিয়োগেই। বাড়ির উঠোন কিংবা ফাঁকা গ্যারেজে বসিয়েই উপার্জন করা যাচ্ছে মাসে হাজার হাজার টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (AC) ও এয়ার কুলার ভাড়া দেওয়া কিংবা বরফ তৈরির ছোট ইউনিট চালিয়েই গড়ে তোলা যাচ্ছে লাভজনক ব্যবসা। এই গরমের মরসুমে চাহিদা ব্যাপক। আর সেই চাহিদাকেই মূলধন বানিয়ে নিজের ব্যবসা দাঁড় করানোর সুযোগ পেয়েছেন বহু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
কীভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা?
এই ব্যবসার শুরুতে দরকার খুব অল্প মূলধন। ৫ থেকে ১০টি এয়ার কুলার বা পুরনো এসি কিনে ভাড়া দেওয়া যায় মাসভর। প্রতি কুলারের জন্য মাসিক ভাড়া হিসেবে নেওয়া যায় ₹৭০০ থেকে ₹১,২০০। এসি হলে প্রতি ইউনিটে মাসে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ পর্যন্ত আয় সম্ভব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowধরা যাক, কারও কাছে ২০টি কুলার বা এসি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাসে আয় হতে পারে ₹৪০,০০০ থেকে ₹৫০,০০০। মরসুম শেষে এই আয় ছুঁতে পারে ₹২ থেকে ₹৩ লক্ষ পর্যন্ত।
অন্য বিকল্প কী?
শুধু কুলার বা এসি নয়, বরফ তৈরির ছোট ইউনিটও হতে পারে লাভের পথ। দিনে ২০০ কেজি বরফ তৈরি করা গেলেই আয় হতে পারে ₹২,০০০ থেকে ₹৩,০০০। হোটেল, মাছের বাজার, কোল্ড স্টোরেজ—চাহিদার অভাব নেই।
কোথায় বিক্রি করবেন?
গ্রাহক খুঁজে পাওয়াও কঠিন নয়। স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি বা পরিচিতদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন ব্যবসার কথা। হোম ডেলিভারি থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়ে।
অর্থের জোগান কীভাবে?
যাঁদের হাতে ততটা নগদ নেই, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুযোগ। সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’-র মতো স্কিম থেকে সহজে লোন পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে শুরুতেই ব্যবসার জন্য মূলধন তোলা সম্ভব।
৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. এই ব্যবসা শুরু করতে ন্যূনতম কত টাকা দরকার?
৫-১০টি কুলার বা এসি কিনতে ₹৫০,০০০ থেকে ₹১ লক্ষ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
২. ভাড়ার চাহিদা কোন এলাকায় বেশি?
গরম এলাকা, ছাত্রাবাস, কর্মস্থলের কাছাকাছি বা শহরতলির ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বেশি চাহিদা।
৩. বরফ তৈরির যন্ত্র কোথা থেকে পাওয়া যাবে?
অনলাইন ও অফলাইন হোলসেল মার্কেট—দুই জায়গা থেকেই মেশিন কেনা সম্ভব।
৪. ব্যবসার প্রচার কীভাবে করব?
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম (WhatsApp, Facebook) ও স্থানীয় বাজারে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে শুরু করা যায়।
৫. রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার?
প্রতিটি যন্ত্রের নিয়মিত পরিষ্কার ও সার্ভিসিং করতে হবে ব্যবসাদারের পক্ষ থেকেই।