আজ মহানবমী। দেখতে দেখতে পুজোর তিনদিন কেটে গেল। কিন্তু পুজো এখনও বেশ কিছুটা বাকি। বছরের এই একটা সময় যখন মা আমাদের মাঝে আসেন। অনাবিল আনন্দ ও অফুরন্ত খুশীতে ভরিয়ে দেন দিনগুলো। মহামায়া আজ তাঁর নবমরূপে পূজিত হবেন গৃহে গৃহে। মায়ের এই রূপের নাম সিদ্ধিদাত্রী। ‘সিদ্ধি’ শব্দের অর্থ হল সাফল্য যা কঠোর তপস্যার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। এবং ‘দাত্রী’ শব্দের অর্থ হল যিনি প্রদান করেন সেই অসামান্য সাফল্য। দেবী মূলত সিংহবাহিনী। দেবী শঙ্ক, চক্র, গদা ও পদ্ম ধারণ করে এই সৃষ্টির উৎকর্ষতায় নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন দিবানিশি।
মায়ের এই রূপ সকল রূপের অপেক্ষায় শক্তিশালী। সংখ্যাতত্ত্বে বলা আছে ‘নয়’ সংখ্যাটি সবথেকে বলবান, যেহেতু সকল সংখ্যা যুক্ত করে এই ‘নয়’ সংখ্যাটি আমরা পাই। একই ভাবে মায়ের নয় রূপের মধ্যে, এই রূপের কোন সীমা নেই। আমরা যা কিছু কর্ম করি, একটি সুফলের আশা নিয়েই করি। এই মা সেই সুফলদাত্রী। যাই হোক, মায়ের কৈলাশএ গমনের সময় এসে গেল। পিতা গিরিরাজ হিমালয় ও মাতা মেনকার গৃহে এই কটাদিন থাকবার পর, পতিগৃহে ফেরার পালা। তবে সবসময় উনি আছেন আমাদের সাথে, এই বিশ্বাসই আগামী একটা বছর অপেক্ষা করতে সাহায্য করবে। তাই বলি মা, তুমি যেখানেই থাকো, আমাদের একটু দেখ, তোমার কৃপাদৃষ্টির থেকে কখনও যেন না হই বঞ্চিত। রেখ তোমার এই সন্তানদের সদা আনন্দে, সদা দুধেভাতে!!
-কুণাল রায়।