অফবিটদেশসবুজায়ন

স্কুল চত্বরে স্কুলের ছাত্ররা নিজেরাই তৈরি করছে নিজেদের খাবার, উৎসাহ দিচ্ছে গোটা গ্রামকে

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : স্কুল লাগোয়া অঞ্চলে বেড়ে উঠছে নানান ধরনের গাছ। ছোট খুদেরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট ছোট হাতে যত্ন করছে তাদের। সমস্ত গাছের উৎপন্ন ফসল দিয়ে তারা নিজেদের মিড ডে মিলের খাবার তৈরি করছে। এমন ঘটনা ঘটেছে নাগাল্যান্ডের একটি ছোট স্কুলে। বাচ্চাগুলো ছোট হলেও তাদের এমন উদ্যোগকে কিন্তু আপনাকে স্যালুট জানাতে হবেই। ছোট ছোট হাত এ শিশুগুলি যা করে দেখিয়েছে তা পুরো গ্রামকে উৎসাহ দিচ্ছে।

Advertisement
Advertisement

হুল্লাবালু শহর থেকে কিছু দূরে ভিশ্বেমা গ্রামটি নাগাল্যান্ডের পূর্বাঞ্চল হিমালয়ে অবস্থিত। যেখানে প্রায় ৭৫০০ মানুষ বাস করেন। এটি প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং মাটির তৈরি পাত্রের জন্য এটি বিখ্যাত। যেহেতু পাহাড়ের মধ্যে এটি অবস্থিত, তাই পাহাড়ের ধাপে ধাপে ধাপে এখানে চাষের ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেনেইসিনু ভিতসু উদ্যোগে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর বাচ্চারা স্কুলের লাগোয়া অঞ্চলে ফলাচ্ছে নানান রকমের সবজি। বিন্স, বাঁধাকপি, কুমড়ো, স্কোয়াশ, লেবু।

Advertisement

এই সমস্ত ফসল বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের মিড-ডে-মিল খাওয়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। বাড়তি ফসল বাইরে বিক্রি করা হয় এবং সে বিক্রির টাকায় স্কুলেরই উন্নয়ন ঘটানো হয়। বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চারা এই সমস্ত অঞ্চলে গাছের দেখাশোনা করে, জল দেয় এবং প্রাকৃতিক সার দেয়। শিক্ষকদের থেকে পরামর্শ নিয়ে বাচ্চারা প্রথমে এই গাছ লাগানোর জায়গা ঠিক করে, তারপর সেই জমিকে ভালো করে পরিষ্কার করে এবং আশেপাশে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। তার পরে সেখানে গাছের বীজ বপন করে। এভাবে পুরো পদ্ধতিটা চলতে থাকে। গাছের গোড়ায় সার দেওয়ার জন্য তারা তাদের বাড়ি থেকে রান্নাঘরের বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে স্কুলে নিয়ে আসে, এগুলি তারা সার হিসাবে ব্যবহার করে।

Advertisement
Advertisement

ছোট ছোট হাতে তারা কামাল করে দেখিয়েছে। এমন ভাবনা প্রত্যেকটি স্কুলে যদি করা হয়, তাহলে মন্দ হয় না? বাচ্চারা পুষ্টিকর খাবারও পায়, গাছ লাগানোর মতন একটা সুন্দর অভ্যাস গড়ে ওঠে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button