Categories: দেশনিউজ

চীনের সাথে ভারতের যুদ্ধ শুরু হলে কতটা তৈরি ভারত, ভারতের অস্ত্র ভান্ডারে কি কি আছে?

Advertisement

Advertisement

গত ৫ই মে থেকে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় এবং চীন সেনা মুখোমুখি। এই অবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছে দু পক্ষই। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ শুরু তাহলে কি হবে? ভারতের শক্তি সেক্ষেত্রে কতটা?

Advertisement

চীনকে টক্কর দিতে ভারতের হাতে কি কি অস্ত্র আছে? দেখে নিন বিস্তারিত-

Advertisement

১. যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো স্থল বাহিনী। ভারতের স্থল বাহিনীর শক্তি ১২.৩৭ লক্ষের বেশি। ভারতের কাছে আছে ৯.৫০ লক্ষ সংরক্ষিত বাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে আছে অটোম্যাটিক কালাশনিকভক সিরিজের রাইফেল। এছাড়াও আছে ৯১টি অ্যাসল্ট রাইফেল, কার ৮১৬, টিএরজি এম ১০, এম ২৪৯। একাধিক মডেলের আধুনিক মেশিনগান সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র আছে সেনার হাতে।

Advertisement

২. যুদ্ধের আর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হলো ট্যাঙ্ক। ভারতের আছে অনেকগুলি শক্তিশালী ট্যাঙ্ক। এগুলি হলো অর্জুন, ভীষ্ম, অজেয়, বৈজয়ন্ত ট্যাঙ্ক। ভারতীয় সেনার হাতে মোট ট্যাঙ্ক আছে ৫,৯৭৮ টি। এছাড়াও মেশিনগানবাহী গাড়ি, সাঁজোয়া গাড়ি, মাইন বসানোর মতো গাড়ি সহ একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র। আর্মাড হেলিকপ্টারও আছে ভারতের হাতে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ আহত হলে খুব শীঘ্রই একে উদ্ধার করতে পারবে।

৩. ভারতের হাতে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এগুলির মধ্যে অগ্নি সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র যা আট হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। এছাড়াও পৃথ্বী, প্রহার, নির্ভয়ের মতো ক্ষেপণাস্ত্রও আছে। মাটি থেকে আকাশে ছোঁড়ার মিসাইল, অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফট আর্টিলারিও আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে।

৪. স্থলভাগের মতো আকাশ পথেও ভারতীয় সেনার আক্রমণ ভাগ খুবই ভালো। ভারতের কাছে অ্যাপাচি, হ্যাল রুদ্র, হ্যাল ধ্রুব, হ্যাল লাইটের মতো অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে। এছাড়াও হ্যাল, চিতা, ল্যান্সার, চেতক, ও চেতনের মতো কপ্টারও আছে। ভারতের কাছে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম আছে। এর মধ্যে ইজরায়েল থেকে আনা ফ্যালকন রাডার সিস্টেম আছে। এছাড়াও ইন্দ্র, রাজেন্দ্র, স্বাতী, ও রোহিনীর মতো অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেমও আছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমানের মধ্যে ভারতের কাছে আছে মিগ সিরিজের আধুনিক বিমান, সুখোই বিমান, মিরাজ বিমান, জাগুয়ার বিমান ও তেজস বিমান। সবমিলিয়ে প্রায় ৫৮৪ টি অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান আছে ভারতের কাছে। এছাড়াও তিনটি রাফাল বিমানও ভারতের কাছে আছে। নজরদারির জন্য এবং যুদ্ধ সামগ্রী বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা বিমান আছে ভারতের কাছে।

৫. ডিআরডিও এর তৈরি দুটি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি সিস্টেম আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। ভারতের কাছে এম ৭৭৭ হাউইৎজার কামান রয়েছে ১৪৫টি যেগুলি ২৪ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে গোলাবর্ষণ করতে পারে। এছাড়াও হুবিটস হাউইৎজার কামান, এম ৪৬ হাউইৎজার কামান, ও ডি ৩০ হাউইৎজার কামান ও ধনুষ কামান আছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। সবমিলিয়ে এই সংখ্যাটা প্রায় ১৮৬০।

৬. স্থলভাগ এবং আকাশভাগের মতো জলভাগেও ভারতীয় সেনার কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র আছে। রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা আইএনএস চক্র যুদ্ধজাহাজ আছে। স্করপেন গোত্রের অ্যাটাক সাবমেরিন আছে ভারতের কাছে। ১০টি ডেস্ট্রয়ার মিসাইল আছে নৌবাহিনীর কাছে।

৭. এছাড়াও ভারতের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে। তবে ভারত এই অস্ত্র ব্যবহারে বিশ্বাসী নয়। ভারতের কাছে আরও আছে, অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল। এই শক্তিশালী মিসাইল মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম।

Recent Posts