Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, ৪৫ শতাংশ শয্যা বাড়ানোর ভাবনা রাজ্য সরকারের

করোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের প্রভাবে গতবছর থেকে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার তলানিতে ঠেকতে সবাই প্রায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিল। আবারো আগের মত কাজকর্ম এবং সাধারন…

Avatar

করোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের প্রভাবে গতবছর থেকে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার তলানিতে ঠেকতে সবাই প্রায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিল। আবারো আগের মত কাজকর্ম এবং সাধারন জীবন যাত্রা শুরু করেছিল মানুষ। তবে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশজুড়ে রেকর্ড সংখ্যা পার করেছে দৈনিক সংক্রমনের। দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। এবার রাজ্যও নড়েচড়ে বসেছে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য।

চলতি সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে করণা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে। গতবছরের থেকেও যে এই বছরের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর গত বছরের তুলনায় আরো বেশি শয্যা তৈরি রাখার ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে। আগের বছরের তুলনায় এবছর আরো ৪৫ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ শতাংশ ও সরকারি হাসপাতালে ২০ শতাংশ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ইএসআই হাসপাতালে আলাদাভাবে অনেক শয্যা বাড়ানো হবে। এককথায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য আগে থাকতেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি হোমগুলিতে জায়গার অভাব দেখা যাচ্ছে। লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে করণা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় জড়িত কর্তারা মুখ্য সচিবের সাথে একটি বৈঠক করে এবং বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, করণা পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থাকতে যাবতীয় ব্যবস্থা সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। অ্যাম্বুলেন্স, রেমেডিসিভির মেডিসিন, শয্যা ইত্যাদি বাড়ানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ টি পুলিশ হাসপাতালে ৩৪০ শয্যা রাখা হয়েছে। সেখানে পুলিশকর্মীরা থাকতে পারবেন। এছাড়া ভোটের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনো সমস্যা হলে দ্রুত rt-pcr বা রেপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশের ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের দ্রুত করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

About Author