এক সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে স্থানীয় মুরগি পালন করা হত। কিন্তু ধীরে ধীরে স্থানীয় মুরগির সংখ্যা কমতে শুরু করে এবং এটি বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এখন আবার মানুষ খামার তৈরি করে স্থানীয় মুরগি পালন শুরু করেছে। সমষ্টিপুরের সঞ্জয় রাম এদের মধ্যেই একজন। ৫০০টি দেশি মুরগি দিয়ে ব্যবসা শুরু করা সঞ্জয় আজ একজন সফল মুরগির খামারি হয়ে উঠেছেন। তিনি দেশি মুরগি, দেশি ডিম ও মুরগির বাচ্চাও বিক্রি করেন। এতে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা আয় হয়।
সঞ্জয় বলেন, বয়লার মোরগ দ্রুত বড় হয়। দেশি মুরগি একটু বেশি সময় নেয়, কারণ এটি বড় হতে ৬০ থেকে ৮০ দিন লাগে। কিন্তু বাজারে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। তাই স্থানীয় মুরগির বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা কেজি। কারণ উভয় মুরগির মাংসের স্বাদে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে দেশি মুরগি পালনকারী বেশিরভাগ মানুষই এটি ব্যবহার করেন। বয়লার মুরগির মাংসের চেয়ে দেশি মুরগির মাংস বেশি সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে মানুষ দেশি মুরগির মাংস পছন্দ করে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসঞ্জয় রাম আরও বলেন, আমরা ৩ বছর ধরে হাঁস-মুরগির চাষ করছি। ৫০০টি মুরগি দিয়ে শুরু করেছি। আমাদের সবসময় প্রায় ৫০০০ মুরগি থাকে। বর্তমানে আমাদের ১০০০টি মুরগি আছে। এখানে ২০০টি মুরগি ডিম দেয়। আমরা প্রতিদিন ১০০ পিস মুরগির ডিম বিক্রি করি। এছাড়াও আমরা ১০০টি ডিম থেকে বাচ্চা প্রস্তুত করি। ফলে, ২১দিনে ১০০০ শিশু প্রস্তুত। মাসে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করি। এছাড়াও, আমরা প্রতিদিন ১০০টি দেশি মুরগির ডিম বিক্রি করি, যা প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হয়। মুরগি, ডিম ও মুরগি থেকে আমরা প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করি।