Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

26000 SSC Teacher: যোগ্য-অযোগ্য সবার চাকরি বাতিল, ধাক্কায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা

রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে আবারও নেমে এল বড় অনিশ্চয়তা। সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায়ে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Teacher Recruitment Case) ২০১৬ সালের প্রায় ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থী একসঙ্গে ধাক্কা খেলেন। শীর্ষ আদালত…

Avatar

রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে আবারও নেমে এল বড় অনিশ্চয়তা। সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায়ে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Teacher Recruitment Case) ২০১৬ সালের প্রায় ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থী একসঙ্গে ধাক্কা খেলেন। শীর্ষ আদালত রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখে। ফলে যোগ্য ও অযোগ্য—দু’ধরনের প্রার্থীই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।

মামলার পটভূমি

২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তের পর কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার, এসএসসি ও প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে যান। কিন্তু শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে। এরপর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নতুন করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি শেষে সমস্ত আবেদন একযোগে খারিজ হয়ে যায়। আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, এতগুলি পিটিশন বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখার মতো সময় আদালত দেয়নি।

রায়ের মূল প্রভাব

১. চাকরি বাতিল: ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষককে পদ হারাতে হল। ২. ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: তাদের আবার নতুন পরীক্ষায় বসতে হতে পারে। ৩. বেতন ফেরত: প্রাপ্ত বেতন ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পারে। ৪. আইনি লড়াই অব্যাহত: চাকরিপ্রার্থীরা কিউরেটিভ পিটিশন ও SLP দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৫. মানবিক ছাড় নেই: যোগ্য প্রার্থীরাও এই সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হয়েছেন।

সামনে কী পথ খোলা?

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর কিউরেটিভ পিটিশনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। আপাতত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত শিক্ষকরা তাদের পদে বহাল থাকবেন। এরপর সরকারি পদক্ষেপ ও আদালতের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে তাদের ভবিষ্যৎ।
About Author