বিনোদনটলিউড

না চাইতেও কাঞ্চন-পিঙ্কির বিচ্ছেদ মামলায় কাঠগড়ায় শ্রীময়ী, মুখ খুললেন অভিনেত্রী

Advertisement
Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ আলোচ্য বিষয় মিডিয়াতে। গতবছর এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল সেটি। মিডিয়াতেও কম আলোচনা হয়নি এই নিয়ে। তবে গতবছর থেকেই তাদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ উঠলেই আরো এক অভিনেত্রীর নাম উঠেছিল। তিনি ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রীময়ী চ্যাটার্জী। জি বাংলায় ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকের রাধারানী চরিত্রের সূত্র ধরেই দর্শকমহলে পরিচিতি পেয়েছেন অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদ নিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খুললেন তিনি।

Advertisement
Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, ২০১২ সাল থেকে অভিনেতাকে চেনেন তিনি। আর সেই বছর থেকেই শ্রীময়ী ‘বাবুসোনা’ ধারাবাহিক দিয়ে নিজের অভিনয় জীবনের যাত্রাপথ শুরু করেছিলেন। নিছকই সখে অভিনয় করতে এসেছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীকালে অভিনয়ের পাশাপাশি এই ইন্ডাস্ট্রিকে ভালোবেসে ফেলেন অভিনেত্রী। ধীরে ধীরে এই ইন্ডাস্ট্রিরই একজন হয়ে ওঠেন তিনি। তবে বারবার কাঞ্চন-পিঙ্কি বিচ্ছেদ মামলায় তার নাম জড়ানোয় তিনি একাধিকবার অপ্রস্তুতির মধ্যে পড়েছেন। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের মাথা হেঁট হয়েছে পাড়া প্রতিবেশীর পাশাপাশি মিডিয়ার সামনেও। অভিনেত্রীর বাবা-মায়ের পাশাপাশি এখন ধীরে ধীরে সকলেই বুঝতে পারছেন তিনি কিছুই করেননি।

Advertisement

তিনি এও বলেছেন, তিনি না চাইতেও কারণে-অকারণে তাদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন। তারা আগে থেকেই আলাদা থাকছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রায় ১০ বছর ধরে একে অপরের থেকে আলাদা থাকতেন তারা। তাদের সম্পর্কের তিক্ততা যখন সকলের সামনে প্রকাশ পেল তখন থেকেই তার ঘাড়ে বন্দুক রাখা হয়েছে। গত দেড়বছর ধরে আদালতে তাদের বিচ্ছেদ মামলা চলছে, সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। এমনকি অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন, তিনি কাঞ্চন মল্লিক ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাদা আলাদাভাবে বুঝিয়েছেন। কারণ তিনি মন থেকে চেয়েছিলাম তাদের মধ্যে সমস্ত কিছু মিটমাট হয়ে যাক।

Advertisement
Advertisement

তার মতে, একজন সন্তানের বাবা-মা দু’জনকেই প্রয়োজন। এই বিষয়ে তার সব থেকে বেশি মায়া হয় তাদের সন্তানের উপর। কারণ সে নিজে থেকে মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারেনা, সবটা মেনে নিতে হয় তাকে। তিনি আরো জানান, তারা যদি নিজেদের সম্পর্ক ঠিক রাখতেন তাহলে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশও তাদের সম্পর্ক ভাঙতে পারতো না। শেষে তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি ঠিক যেমন আছেন তেমনই থাকবেন। কারোর মিথ্যা দোষারোপের জন্য তিনি নিজেকে পাল্টাবেন না। কারণ তার মতে, নিজে ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button