Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

“কি দরকার ছিল অভিষেকের নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে খোঁচানোর”, বক্তব্যে সৌগত রায়

সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডার ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচি নয়ে আজ চলেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এইদিন দুপুরে ডায়মন্ডহারবারে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি। কিন্তু যেখানে যাওয়ার পথে একাধিক স্থানে আটকানো…

Avatar

সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডার ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচি নয়ে আজ চলেছে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এইদিন দুপুরে ডায়মন্ডহারবারে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি। কিন্তু যেখানে যাওয়ার পথে একাধিক স্থানে আটকানো হয় তার কনভয়। বিজেপি নেতৃত্বের কনভয়ের ওপর হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। আটকানো হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার গাড়ি। কনভয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে অন্য বিজেপি নেতাদের গাড়ি। এমনটাই এইদিন অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বাংলার বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এর গাড়িতে হামলার ঘটনাও এইদিন ঘটেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, ইট পাথর ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়ির কাচ। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুপম হাজরার গাড়িতেও।

ডায়মন্ডহারবারের সুলতানপুরে আজ সাংগঠনিক সভা করবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। অন্যদিকে এইদিন যাত্রাপথে শিরাকোলে সভা চলছিল বাংলার শাসক শিবিরের অর্থাৎ তৃণমূলের। অভিযোগ উঠেছে, নড্ডার কনভয় শিরাকোল মোড়ে পৌঁছাতেই তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা এবং সমর্থকেরা। আটকে দেয়া হয়েছে বিজেপি সভাপতি নড্ডার গাড়ি। কেবল তার গাড়িই নয়। আটকে দেওয়া হয়েছে মুকুল রায় , কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অনুপম হাজরার গাড়িও।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয় তার গাড়ি। তারপর জেপি নড্ডার গাড়ি ছাড়া হয়েছে পুলিশের মধ্যস্থতায়। অন্যদিকে নড্ডার গাড়ি বেরিয়ে যেতেই আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে অবস্থা। বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। অভিযোগ, শাসক শিবিরের কর্মীরা হামলা করেছে কনভয়ের বাকি গাড়ি গুলির ওপরে। বিজেপি সূত্র থেকে অভিযোগ, খুবই কম পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে। ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনেই।

তবে এইদিন মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপি বলেছে কোনও পুলিশের নিরাপত্তা ছিলনা রাস্তায়। তাছাড়া পুলিশ থাকলেও ভাঙচুর হয়েছে। সেই উত্তরে সৌগত রায় বলেন,”জেপি নড্ডা দেশের রাষ্ট্রপতি নন। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও নন। যে তার জন্য গোটা রাস্তা জুড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তিনি কেবল একটি দলের সভাপতি। তাই কয়েক জায়গায় ছিলনা পুলিশ। সেই জন্যই এমন হয়েছে। তবে আমি তো দেখছি গাড়িগুলি দ্রুতই চলছে।” তবে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।

তবে এখানেই থামেননি সৌগত রায়। তিনি আরও বলেছেন,”কি দরকার ছিল ওনার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে এভাবে খোঁচানোর। বড় একটা মিটিং করলেই তো হয়ে যায়। অনেক সময় মানুষ এমন প্রতিবাদ করে ফেলে।”

সৌগত রায়ের প্রতিক্রিয়া শুনে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,”আমি শুনেছি ওর কথা। এই সব কথা বলার আগে যে ওর লজ্জা বোধ চলে গেছে, তা দেখে অবাক ও হচ্ছি। ” এইদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন,”আমরা অনেকদিনই দেখছি বাংলায় চলছে গুণ্ডারাজ। আইন শাসন বলে কিছু নেই এখানে। পুলিশ দলের দাস হয়ে গেছে। তার তাছাড়া তৃণমূলের ক্যাডার ও হয়ে গেছে পুলিশ। দেশবাসী দেখুন যে একজন রাজনৈতিক দলের সভাপতির ওপর কেমন হামলা করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। তাদের হার্মাদ বাহিনী। বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু আছে নাকি তা বিচার করতে হবে।”

About Author