Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

Sonali Guha: মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে সোনালী গুহ, দলে ফিরছেন কী?

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল দলবদল। একের পর এক তৃণমূল নেতা নেত্রী দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি মুখ…

Avatar

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল দলবদল। একের পর এক তৃণমূল নেতা নেত্রী দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তেই আবার নেতা-নেত্রীরা তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়ে চোখের জল ফেলছেন। কিছুদিন আগেই প্রাক্তন সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সোনালী গুহ বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তারপর সোনালীকে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে দেখা গিয়েছিল। জানা গিয়েছে মমতা ব্যানার্জির ভাইয়ের পারলৌকিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হওয়া, তার ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কি ইঙ্গিত? এই প্রশ্নেই সরগরম ভোট এবং রাজনীতি।

আসলে গত ২৫ মে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দেখা যায় সোনালী গুহকে। তিনি কেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল সেই প্রশ্ন উঠলে তিনি নিজেই জানান, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়েছে। ঐদিন তাঁর পারোলৌকিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূলের অন্য কোন নেতা-নেত্রীর সাথে তার কোনো কথা হয়নি। এই বিষয়ে শাসক শিবির কোন প্রতিক্রিয়া জানায় নি।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পা স্পর্শ করে সোনালী গুহ বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু দলের লজ্জাজনক হারের পর তার মোহভঙ্গ হয়। তিনি কিছুদিন আগে সর্বসমক্ষে টুইট করে জানান, “আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দল পরিবর্তন করে সেখানে গিয়ে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না ঠিক তেমনি আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এবং আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন। ক্ষমা না করলে আমি বাঁচবো না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে দিন।”

সোনালীর টুইট নিয়ে উথালপাতাল হয় বঙ্গ রাজনীতি। অনেকেই মনে করেছিলেন এই ট্যুইটের পর তৃণমূল তাদের পুরনো দাপুটে সৈনিককে দলে ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা করা হয়নি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সোনালীর উপস্থিতি বঙ্গ রাজনীতিতে ফের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দলে কি ফিরবেন সোনালী? এই প্রশ্নেই উত্তাল গোটা রাজনৈতিক মহল।

About Author