![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2020/07/boy-3.jpg)
লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় তারপর থেকেই দেশ জুড়ে চিনা পণ্য বয়কটের দাবি ওঠে। দিনকয়েক আগে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে টিকটক সহ ৫৯ টি চাইনিজ অ্যাপ ব্যান করা হয়। এবার আলিপুরদুয়ার শহরের একটি ১০ বছরের একরত্তি পড়ুয়া বানিয়ে ফেলল ৬টি মোবাইল অ্যাপ। আর সেই অ্যাপগুলি মোবাইলে ব্যবহারের জন্য যে সুরক্ষিত তার শংসাপত্র পেয়েছে ওই পড়ুয়া। এবার শুধু অ্যাপগুলি গুগল প্লে স্টোরে ডাউনলোডের অপেক্ষায়। ওই একরত্তি পড়ুয়ার নাম অনুব্রত সরকার। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সে।
তাঁর তৈরি অ্যাপগুলি চিন ছাড়া বিশ্বের বাকি সমস্ত দেশে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু চিন বাদ কেনো? এই প্রশ্নের জবাবে ছোট্ট অনুব্রতর স্পষ্ট জানায়, “চিন আমাদের সেনাদের মেরে ফেলেছে। তাই চিন আমার তৈরি করা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না। চিন যেমন দাদাগিরি দেখাচ্ছে, আমিও দাদাগিরি দেখাচ্ছি”। বছর দশেকের অনুব্রতর বাবা কৌশিক সরকার পেশায় আলিপুরদুয়ার শহরের জিৎপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁর মা শান্তা ভট্টাচার্য নিউ টাউন বালিকা শিক্ষামন্দির বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
কৌশিক বাবু জানান, মাত্র আট বছর বয়সেই ছেলে বানিয়ে ফেলে একটি অ্যাপ। তারপর থেকে ক্রমে সংখ্যাটা বেড়েছে। ছোটবেলা থেকেই অনুব্রত কম্পিউটার ও অঙ্কের প্রতি আগ্রহ। তারপর থেকে ৬টি অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে সে। পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রতর কম্পিউটারের হাতেখড়ি হয়েছে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। ক্লাস থ্রি থেকেই সে কোডিং, ডিকোডিং ও রিজওনিং নিয়ে চর্চা করতে ভালবাসে। এই একরত্তি বাচ্চাটি বিশ্বের যেকোনো দেশের রাজধানীর নাম ও বড় বড় শহরের নাম বলে দিতে পারে এক নিমিষেই।
অনুব্রতর তৈরি ৬টি অ্যাপের তালিকায় রয়েছে -ব্রিক ও মিটার ও লিজেন্ডারি রানার্স, লুডোশিপ, মিট অ্যাপ, কিউআর কোড স্ক্যানার,পিঞ্চ হিটার ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে মিট অ্যাপটি একটি চ্যাটিং সফটওয়্যার। টেকনোলজির পাশাপাশি অনুব্রতর দাবা ও ক্রিকেটে সমান উৎসাহ। মাত্র চার বছর বয়সে কলকাতায় একটি জনপ্রিয় টিভি শো-তে সে অংশগ্রহণ করে যার সঞ্চালক ছিলেন ভারত ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও এই খুদের মেধা দেখে চমকে গিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে দেশের সবকটি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে বছর দশেকের অনুব্রত। সোনার পদক এনেছে সিলভার জোন অলিম্পিয়াডে ট্যালেন্ট হান্টে র্যা ঙ্কিং করে। অনুব্রতর বাবা ও মা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানের এমন কান্ডকারখানায় তাঁরা অবাকই হন। বড় হয়ে কি হতে চায় সে? শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়া অনুব্রত জানায় তাঁর আগ্রহ রোবটিক্সে।