চলতি বছরের শুরুতে করোনার প্রকোপ অনেকটা কমলেও এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় মিউট্যান্ট স্ট্রেনের প্রভাবে দেশজুড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় শেষ ৯ দিন ধরে দৈনিক আক্রান্ত হয়েছে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। সমস্ত বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ভারতের এবারের সংক্রমণ হার। এই পরিস্থিতিতে আজ অর্থাৎ ১ লা মে থেকে গোটা দেশজুড়ে ১৮ ঊর্ধ্বের সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। তবে এই তৃতীয় পর্বের টিকাকরণ অভিযান শুরু করার আগে বেশকিছু রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা গেছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে শনিবার অর্থাৎ আজ থেকে তারা টিকাকরণ অভিযান শুরু করতে পারবে না।
মহারাষ্ট্র, গুজরাট ইত্যাদি রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৃতীয় পর্যায় টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে তারা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এখন অব্দি মোট ১৬১.৬ মিলিয়ন টিকার ডোজ পাঠিয়েছে। তবে এখন অব্দি বেশকিছু রাজ্যে টিকার আকাল দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে আজ তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে দিল্লির হাতে এখনো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। অযথা ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলির বাইরে লাইন দেবেন না। আগামী ৩ মে এরমধ্যে ৩ লাখ কোভিশিল্ড ডোজ আসবে। ভ্যাকসিন চলে এলেই এই অভিযান শুরু হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান বলেছেন, ১ মে থেকে রাজ্যে তৃতীয় পর্বে টিকাকরণ অভিযান শুরু হবে না। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এখন অব্দি প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারেনি। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত বলেছেন যে গোয়া সরকার ইতিমধ্যেই ৫ লাখ ডোজের অর্ডার দিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটকে। রাজ্য ভ্যাকসিন পৌঁছে গেলেই টিকাকরণ শুরু হবে। এছাড়া একই সুরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ডোজ যখন হাতে পাওয়া যাবে তারপরই ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ অভিযান শুরু হবে। তবে এখন আগের মত ৪৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকাকরণের কাজ চলবে। এছাড়াও, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরে আজ থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ অভিযান শুরু হচ্ছে না।