শীতলকুচি কাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসা মাত্রই এবারে সিআরপিএফ বাহিনীকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গত ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন বিজেপি বিরোধী সকল এই অভিযোগ করেছিলেন যদি আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে হয় তাহলে গুলি পিঠে লাগল কি করে? কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছিল তারা শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছিল, কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরেই শুরু হলো সমস্যা।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে নিহত হামিদুল মিয়ার পিঠে গুলি লেগেছে। অন্যদিকে সামিউল মিয়ার শরীরে ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সঙ্গে স্প্লিন্টারের ক্ষত আছে। আবার আলম মিয়া এবং মঈনউদ্দিন মিয়ার গুলি লেগেছে বুকে। মাত্র ১০ মিটার দূরত্ব থেকে কিন্তু গুলি বুকে নয় পায়ে চালানোর কথা। তাই এই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসা মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল এই পোস্টমর্টেম রিপোর্টকে হাতিয়ার করতে চাইছে। প্রশ্ন উঠছে বুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হল কেন? যেখানে নিয়মটাই পায়ে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর। সামিদুলের মাথায় ভারী বস্তুর আঘাত লাগল কি করে? আর হামিদুল মিয়ার পিঠে গুলি লাগল কি করে? এরকম হাজারো প্রশ্ন উঠে আসছে সিআরপিএফ এর বিরুদ্ধে। ফলে প্রথমদিকে আত্মরক্ষার কথা বললেও এবারে বিজেপি বিরোধী দলগুলির প্রশ্নের মুখে সত্যি সত্যি পড়তে হলো সিআরপিএফকে।