বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা আমির খান আবারও পর্দায় ফিরছেন তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তারে জমিন পার’ চলচ্চিত্রের থিমের ধারাবাহিকতায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন ও সংগ্রামের গল্প তুলে ধরবে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আর. এস. প্রসন্ন এবং প্রযোজনা করেছেন আমির খান ও কিরণ রাও। চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুন, ২০২৫।
চলচ্চিত্রের পটভূমি ও থিম
‘সিতারে জমিন পার’ চলচ্চিত্রটি স্প্যানিশ চলচ্চিত্র ‘ক্যাম্পিওনেস’ (২০১৮) এর অনুপ্রেরণায় নির্মিত। চলচ্চিত্রটির মূল থিম হল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের অন্তর্নিহিত প্রতিভা ও সম্ভাবনা। চলচ্চিত্রে আমির খান অভিনয় করেছেন গুলশন নামক একটি চরিত্রে, যিনি একজন বাস্কেটবল কোচ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে একটি দল গঠন করেন। চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া দেশমুখ, দারশীল সাফারি, ব্রিজেন্দ্র কালা, সোনালি কুলকার্নি, এবং সুরেশ মেনন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমুক্তির পরিকল্পনা ও ট্রেলার
চলচ্চিত্রটির ট্রেলার মুক্তির পরিকল্পনা ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, এবং এটি ‘রেইড ২’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত করে প্রদর্শনের কথা ছিল। তবে, পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার কারণে আমির খান ট্রেলার মুক্তি স্থগিত করেন, কারণ তিনি মনে করেন এই দুঃসময়ে ট্রেলার মুক্তি অনুচিত হবে। চলচ্চিত্রটির সম্পাদনা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং মুক্তির জন্য প্রস্তুত।
নির্মাণ ও শুটিং
চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এবং শেষ হয় জুন মাসে। শুটিং হয়েছে মুম্বাই, দিল্লি এবং বরোদা শহরে। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন জি. শ্রীনিবাস রেড্ডি এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শংকর-এহসান-লয়।
আমির খানের প্রত্যাবর্তন
‘সিতারে জমিন পার’ চলচ্চিত্রটি আমির খানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, কারণ এটি তাঁর ২০২২ সালের ‘লাল সিং চাড্ডা’ চলচ্চিত্রের পর প্রথম অভিনয়। চলচ্চিত্রটি একটি সামাজিক ড্রামা, যা হাস্যরস, আবেগ এবং নাটকীয়তার সংমিশ্রণে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
View this post on Instagram
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্ন ১: ‘সিতারে জমিন পার’ চলচ্চিত্রটি কবে মুক্তি পাবে?
উত্তর: চলচ্চিত্রটি ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে মুক্তি পাবে।
প্রশ্ন ২: চলচ্চিত্রটির মূল থিম কী?
উত্তর: চলচ্চিত্রটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবন, সংগ্রাম এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নির্মিত।
প্রশ্ন ৩: চলচ্চিত্রটি কি ‘তারে জমিন পার’ এর সিক্যুয়েল?
উত্তর: না, এটি একটি নতুন গল্প, তবে থিমগতভাবে ‘তারে জমিন পার’ এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
প্রশ্ন ৪: চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
উত্তর: চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আর. এস. প্রসন্ন।
প্রশ্ন ৫: চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন কে?
উত্তর: চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শংকর-এহসান-লয়।