শ্রুতি হাসান দক্ষিণী সিনেজগত আর বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এর পাশাপাশি শ্রুতি একজন গায়িকা আর সুরকার। ২০০৯ সালে ‘লাক’ সিনেমা দিয়ে সিনে ইন্ড্রাস্টিতে অভিনেত্রী হিসেবে অভিষেক করেন। শ্রুতির আরো একটি পরিচয় আছে তিনি অভিনেতা কমল হাসান এবং সারিকা ঠাকুরের কন্যা। তবে শ্রুতির বাবা মা এখন আর একসাথে থাকেননা। মা বাবার ডিভোর্স নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমে সরাসরি কথা বললেন এবার শ্রুতি।
১৯৮৮ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন কমল হাসান এবং সারিকা ঠাকুর। অন্যানদের মতো এরা সুখী দম্পতি ছিলেন। ২০০৪ সালে তাঁদের বিবাহিত সম্পর্কে ইতি আসে। দুই মেয়েকে মানুষ করার মাঝেই এই ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ হয়। শ্রুতির বাবা মায়েত ডিভোর্সের সময় অভিনেত্রীর তখন ছোট কিশোরী ছিলেন আর তাঁর দিদি আকশারা হাসান বেশ বড় ছিলেন। অভিনেতা কমল হাসানের দুই মেয়ে নিজের বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowশ্রুতি নিজের বাবা মায়ের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আরো বলেছেন, তিনি এই ব্যপারব খুশি তাঁরা দুজনে এখন আলাদা হয়ে গেছে। কারণ, একসঙ্গে না থাকতে চাইলে জোর করে কখনোই একসাথে জীবনসঙ্গী হয়ে পথ চলা চলা উচিত। এইভাবে একসাথে থাকার কোনো মানেই হয়না। তিনি আরো জানান, নিজের মায়ের তুলনায় বাবার বেশি কাছের ও আদুরে। সারিকা দেবী তাঁর জীবনের একটি অংশ মাত্র। তবে নিজের বাবা মাকে পৃথিবীর সেরা বাবা-মায়ের তকমা দিয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী আরো বলেন, তাঁর বাবা মা দুজনেই খুব ভাল মানুষ। তবে একসঙ্গে থাকলে হয়তো তাঁরা এত সুন্দরভাবে থাকতে পারতেন না। আলাদা থাকার জন্যই এখনো নিজেদের মনের সৌন্দর্য কখনো বদল আসেনি। তাঁরা আলাদা থাকার ফলে আরো ভাল থাকতে পেরেছেন শ্রুতি এবং দিদি আকশারা। তাঁদের ডিভোর্স হয়তো নিজেদের সেরা দিতে পারেন তার জন্যই ঘটেছিল। তবে আবেগ প্রবণ হয়েওনেও বলেন অভিনেত্রীর বাবা মা যখন আলাদা হন তখন তিনি খুবই ছোট ছিলেন।
শ্রুতি এখন নিজের কেরিয়ার নিয়ে বেশি ব্যস্ত আছেন। করোনা আবহে এবছরশ্রু তি কিছু দিন আগে একটি ডিজিটাল সিরিজ শ্যুট করছিলেন, কিন্তু করোনা ভাইরাসের বাড় বাড়ন্তে শ্যুটিং এর কাজ বন্ধ রেখেছেন। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে কবে শ্যুটিং চালু হবে তার এখন কোনও নিশ্চিয়তা নেই। তাই অভিনেত্রী নিজের বাড়িতেই স্টুডিও তৈরি করে শ্যুটিং এর কাজ করছেন।