মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের থেকেই মৃত্যু শর্বরী দত্তের, হাতে এল ময়না তদন্তের রিপোর্ট

Advertisement

Advertisement

ধুতির ফ্যাশনে সারা দুনিয়া এক নামে চেনে শর্বরী দত্তকে। গত রাতেই প্রয়াত হয়েছেন এই প্রতিভাবান ফ্যাশান ডিজাইনার। তাঁর নিজস্ব বাথরুমেই পাওয়া যায় নিথর শরীর। এরপর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় শরীর NRS-এ। সেই রিপোর্ট চলেও এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণেই মৃত্যু শর্বরী দত্তের। সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছিল ৬৩ বছরের শর্বরীদেবীর। এর জন্যই বাথরুমে পড়ে যান তিনি। সেখান থেকে ইন্টারনাল হ্যামারেজ হয় তাঁর।

Advertisement

ময়নাতদন্তের পরে শর্বরী দত্তের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনেই শেষকৃত্য হবে শর্বরীদেবীর। উল্লেখ্য, ব্রড স্ট্রিটের বাড়িতে ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকতেন শর্বরীদেবী। অথচ সম্পূর্ণ ২৪ ঘণ্টা কারোর সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না। শর্বরীদেবীর ছেলের কথা অনুযায়ী, ১৬ তারিখ রাতে ভোজন করেন মায়ের সঙ্গে, এরপর আর দেখা হয়নি। শেষে রাত ১১ টায় বাথরুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শর্বরীদেবীর নিষ্প্রাণ শরীর। এরপরেই লোকাল পুলিশ এলে, শরীর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রঙিন ধুতির পাড়ে কাঁথা স্টিচ বা রাজস্থানী প্রিন্ট– এসবের সৃষ্টি ছিল শর্বরী দেবীর নিজের একান্ত সৃষ্টি। বিভিন্ন দেশের লোক সংস্কৃতিকে পোশাকে ফুটিয়ে তুলতেন শর্বরীদেবী। তার মধ্যে অন্যতম ছিল মিশরীয় সভ্যতা। এখানেই থেমে থাকেননি এই ফ্যাশান ডিজাইনার।বচ্চন পরিবার থেকে শুরু করে বলিউড টলিউড প্রায় একা হাতেই সামলেছিলেন শর্বরীদেবী।

Advertisement


উল্লেখ্য, মা ছেলের সম্পর্কে মিষ্টতার ভাগ কমই ছিল। বছর কয়েক আগে ব্র্যান্ডের নাম নিয়ে ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল শর্বরীদেবীর। ব্যবসায়িক কারণ বশত মা-ছেলের মধ্যেও মামলা চলছিল। কয়েক বছর আগে পারিবারিক ব্যবসা ছেড়ে নিজের স্টোর খোলেন শর্বরীদেবী, নাম দেন ‘শূন্য’। আজ সবই শূন্য করে দিয়ে চির বিদায় নিলেন শর্বরী দত্ত। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ফ্যাশন জগতে ও টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে।

Recent Posts