Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন ‘কলমি শাকের বড়া’

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - সাধারণত জলেই জন্মায় কলমি শাক। তবে এখন অনেকেই শখ করে ছাদে, উঠানে, বারান্দার টবে কলমি শাক চাষ করেন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে কলমি শাকের চাষ হয়। তবে…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – সাধারণত জলেই জন্মায় কলমি শাক। তবে এখন অনেকেই শখ করে ছাদে, উঠানে, বারান্দার টবে কলমি শাক চাষ করেন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে কলমি শাকের চাষ হয়। তবে বিদেশে এই শাকটির তেমন কদর নেই, বরঞ্চ ‘বিরক্তিকর আগাছা’ বলেই সে দেশের লোকেরা ডাস্টবিনে ফেলে দেন। অত সাহেবি আদব-কায়দা তো আমাদের জানা নেই, আমরা আমাদের খাদ্যতালিকায় কলমি শাক কে আপন করে নিয়েছি। ঝোলে, চচ্চড়িতে কিংবা ভাজায় কলমি শাক এর জুড়ি মেলা ভার। বাঙালির পাতে গরম গরম ভাতের সঙ্গে ডাল দিয়ে মাখার পরে একটা না একটা ভাজা লাগে। প্রতিদিন কি আর আলু ভাজা, পটল ভাজা কিংবা বেগুন ভাজা দিয়ে মন ভরে? তাই একটু স্বাদ বদলাতে ডালের সঙ্গে খেতেই পারেন ‘কলমি শাকের বড়া’।

জলজ এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যার জন্য হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। ছোট শিশু, বৃদ্ধ প্রত্যেককেই নিয়মমাফিক কলমি শাক খাওয়ানো উচিত। তবে ছোটরা অনেক সময় শাকপাতা খেতে চায় না, তাই তাদেরকে খাওয়ানোর জন্যই ‘কলমি শাকের বড়া’ রেসিপিটা মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে আয়রন যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য এই শাক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে সমস্ত মায়েরা শিশু জন্ম দেওয়ার পরে দুগ্ধ পান করাতে গিয়ে দেখেন স্তনে দুধ আসে না সেই সমস্ত মায়েরা কলমি শাক খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্যে যারা ভুগছেন, তারা কলমি শাক রান্না করে খেতে পারেন। আবার কলমি শাক এর সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন। আজকের রেসিপি ‘কলমি শাকের বড়া’, চলুন দেখি কিভাবে বানাতে হয়

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

উপকরণঃ কলমি শাক ভালো করে ধুয়ে কুচি করে কাটা, পেঁয়াজ কুচি, মসুর ডাল বাটা, ডিম, বেকিং পাউডার, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, সামান্য কাঁচা লঙ্কা কুচি, লবণ, সর্ষের তেল ভাজার জন্য।

প্রণালীঃ একটি পাত্রে কলমি শাক কুচি করে কাটা, পেঁয়াজ কাটা, নুন, হলুদ, সামান্য বেকিং পাউডার, মসুর ডাল বাটা, কাঁচালঙ্কা কুচি ভালো করে হাত দিয়ে চটকে মাখতে হবে। এরপর কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে গরম করতে দিতে হবে। তেল থেকে বেশ ধোঁয়া উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে মিশ্রণটিকে হাতায় করে তুলে তুলে তেলের ওপরে ছাড়তে হবে। কিংবা মিশ্রণটি যদি বেশ শক্ত হয় তাহলে বড়ার আকারে গড়েও দিতে পারেন। একপিঠ ভাজা হয়ে গেলে, উল্টোপিঠ সমানভাবে ভেজে নিতে হবে। লাল লাল করে বেশ ভাজা হয়ে যাবার পরে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ‘কলমি শাকের বড়া’।

About Author