যদি আপনি প্রতি বছর ₹50,000 পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড) অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং এটি টানা ১৫ বছর ধরে চালিয়ে যান, তাহলে ১৫ বছর পরে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৭.৫ লাখ। তবে, চক্রবৃদ্ধি সুদের কারণে এই রাশি বেড়ে ১৩,৫৬,০৭০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে!
কেন এই স্কিম বিশেষ?
এই স্কিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সরকার দ্বারা পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। বর্তমানে জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ সময়ের জন্য পিপিএফের সুদের হার ৭.১% বার্ষিক নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করা হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপিপিএফ স্কিমের প্রধান সুবিধা
সরকারি নিশ্চয়তা: বিনিয়োগের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা
আয়কর ছাড়: ধারা 80C-এর অধীনে কর সুবিধা পাওয়া যায়
চক্রবৃদ্ধি সুদ: প্রতি বছর সুদের ওপরও সুদ যোগ হয়
ঋণ ও আংশিক উত্তোলন সুবিধা: ৭ম বছর থেকে আংশিক টাকা তোলার অনুমতি
কার জন্য উপযুক্ত?
যারা দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় করতে চান এবং ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ খুঁজছেন, তাদের জন্য পিপিএফ আদর্শ। চাকরিজীবী, গৃহস্থ, ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি অবসর পরিকল্পনার জন্যও এটি উপযুক্ত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
– পিপিএফ-এর মেয়াদ ১৫ বছর, তাই এটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
– জরুরি প্রয়োজন হলে ৭ম বছর থেকে আংশিক টাকা তোলার সুবিধা আছে।
– এটি সুদ-কোম্পাউন্ডিংয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে বড় অঙ্কে পরিণত হয়।
নিরাপদ বিনিয়োগের পাশাপাশি কর সাশ্রয়ের সুযোগ দিতে পিপিএফ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী উপায় হতে পারে।