হেয়ার স্টাইলিস্টকে হারলে ডেভিডসনের জুতো দিয়েছিলেন সালমান খান, মানবিক রূপ দেখে মুগ্ধ সকলে

দর্শন ইয়েওয়ালেকার বলিউডের একজন জনপ্রিয় হেয়ার স্টাইলিস্ট

Advertisement

Advertisement

বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সুপ্রিমেসি সর্বজনবিদিত। এককালে বেশিরভাগ হিন্দি ছবির প্রধান চরিত্রের ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি। গোটা ক্যারিয়ারে সালমান খান অসংখ্য অভিনেত্রীর সাথে স্ক্রিন ভাগ করে নিয়েছেন। বলিউড ভাইজানের জনপ্রিয়তার কোনো সীমা নেই। এমনকি ভাইজান দেশের বাইরে বিদেশেও চর্চায় থাকেন। ভাইজানের মন যে বিশাল উদার সেই উদাহরণ পাওয়া গেছে আগেই। এবার হেয়ার স্টাইলিস্ট দর্শন ইয়েওয়ালেকার সালমান খান সমন্ধে এমন কিছু বললেন যা শুনে মন ভালো হয়ে যাবে আপনার।

Advertisement

দর্শন ইয়েওয়ালেকার একজন জনপ্রিয় হেয়ার স্টাইলিস্ট। দর্শন তার কর্মজীবনে সালমান খান থেকে শুরু করে সাইফ আলি খান, রণবীর কাপুর এবং রণবীর সিং পর্যন্ত তারকাদের জন্য চুলের স্টাইলিং করেছেন। রণবীরের সঙ্গে ৬টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। বাজিরাও মাস্তানি থেকে পদ্মাবত, গুন্ডে, কিল দিল এবং ৮৩ পর্যন্ত। এই সব ছবিতেই রণবীরের হেয়ারস্টাইলিস্ট ছিলেন দর্শন ইয়েভলেকার। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি সালমান খান সম্পর্কিত একটি গল্প শুনিয়েছেন তিনি। এই গল্প ‘জান-ই-মন’ ছবির শুটিংয়ের সময়কার। ঠিক কি বলেছিলেন তিনি?

Advertisement

হেয়ার স্টাইলিস্ট দর্শন ইয়েওয়ালেকার জানিয়েছেন যে ‘জান-ই-মন’ ছবির শুটিংয়ের সময় সহকারী স্টাইলিস্ট হিসাবে সালমান খানের সাথে নিউ ইয়র্কে ছিলেন তিনি। তখন একদিন সালমান খান তাঁকে হারলে ডেভিডসনের একটি জুতো উপহার করেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমি ডিজেল এবং হার্লে ডেভিডসনের মতো ব্র্যান্ড পছন্দ করতাম। তার স্বপ্ন ছিল একদিন আমি হার্লে ডেভিডসনের জুতা কিনব। সালমান কোথাও কারো কাছ থেকে এই কথা শুনেছেন কিনা জানি না, বা কী হয়েছিল জানি না। এরপর একদিন সালমান খান সবাইকে নিয়ে শপিং গেছিলেন।”

Advertisement

তিনি আরও বলেছেন, “আমরা হার্লে ডেভিডসনের দোকানে পৌঁছলাম। আমি সেখানে কী চেইন ইত্যাদি দেখেছি। তাদের খরচ ১৪ ডলার। আর আমার পকেটে ছিল ৫ ডলার। আমি ভেবেছিলাম কিছু মনে করবেন না, অন্তত জুতা চেক করুন। আমি দেখছি সবাই বিভিন্ন জিনিস চেষ্টা করছে। আমি দোকান ছেড়ে যেখানে আমাদের গাড়ি পার্ক করা ছিল সেখানে গেলাম। হটাৎ সালমান খান আমায় ডেকে পাঠান। তারপর আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হ্যাঁ’। তাই তিনি (সালমান) বললেন, ‘জুতো কিনুন, দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ আপনি এটা বিশ্বাস করতে পারেন!”