Taimur Ali Khan: তৈমুরকে ‘বিক্রি’ করতে চেয়েছিলেন সইফ, প্রস্তাব শুনেই ক্ষেপে উঠেছিলেন করিনা

Advertisement

Advertisement

তৈমুর আলি খান সইফ আর বেবোর প্রথম ও বড় সন্তান। জন্মের পর থেকে এই ছেলে অন্য স্টারকিডদের থেকে বেশি চর্চায় থাকেন। জন্মের দিন থেকে এই ছেলে পেজ থ্রির পাতায় সর্বদা জায়গা করে নিয়েছে তৈমুর। তৈমুর আলি খান এখন বড় দাদা। ভাই আসাতেও এই বড় দাদা এখনো সকলের নয়নমনি। পতৌদি বাড়ির বড় ছেলে তৈমুর জন্মের প্রথম দিন থেকেই বলিউডের সমস্ত স্টারকিডদের থেকে স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছিল৷ তৈমুরকে জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্য কোনো স্টারকিড হারাতে পারেনি।

Advertisement

কিন্তু বেবো কোনোদিন চাননি, তাঁর বড় ছেলে তৈমুর আলোকবৃত্তের মধ্যে বড় হোক। তৈমুরের ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর বৌমার মতো ইচ্ছে রেখেছিলেন। কিন্তু তৈমুরের বাবা সইফ একদিন তৈমুরকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিখ্যাত আরজে সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সইফ এই বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বহু সিনেমার প্রযোজকরা সইফকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর অভিনীত সিনেমার প্রচারে পুত্র তৈমুরের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করতে। সইফকে এর জন্য প্রজোযকরা মোটা অঙ্কের অর্থ দিতেও রাজি ছিলেন।

Advertisement

এমনকি ‘বাজার’ সিনেমার প্রচারের সময় সইফের মাথার কাঁচা-পাকা চুলের মতো একটি উইগ সেই সম্প্য তৈমুরকেও পরাতে বলেছিলেন। এছাড়া ‘কালাকান্ডি’ সিনেমার জন্য সেই সময় সইফকে চুলে পনিটেল করতে হয়েছিল। তৈমুরকেও ওই ধরনের পনিটেল করিয়ে নানান ফটোশুট করার প্রস্তাব আসে। ‘হান্টার’ সিনেমায় যে জটা ব্যবহার করা হয়েছিল সেই একইরকম জটা তৈমুরকে পরানোর প্রস্তাব এসেছিল। সইফ এই ধরনের প্রস্তাবকে মজা হিসাবে দেখলেও করিনা তাঁর উপর প্রচন্ড রেগে যান।

Advertisement

তিনি সইফের উপর চেঁচিয়ে উঠে বলেছিলেন, বাবা হয়ে কি করে নিজের ছেলেকে বিক্রির কথা ভাবতে পারেন? কিন্তু সইফ বলেছিলেন, তাঁর কাছে এটা কোনো অপরাধ নয়। সবাই তৈমুরকে ভালোবাসে। সে ও একজন সেলিব্রেটি তাই তাকে সবাই দেখতে চায়। যদি কোনো নির্দিষ্ট প্ল‍্যাটফর্মের মাধ্যমে যদি তৈমুরকে দেখিয়ে টাকা উপার্জন করা যায় অথবা বাচ্চাদের জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের মুখ করা যায়, তাতে তো কোনো অন্যায় নেই। সইফ আরো জানান তিনি এই টাকা তৈমুরের পড়াশোনার পিছনে খরচ করার কথা ভেবেছিলেন। মজা করে আবার এও বলেন এই টাকা দিয়ে একটু সুইজারল‍্যান্ড ঘোরাও যেত। কিন্তু করিনার জন্য তৈমুর কিছু করতে পারেনি। অবশ্য তাতে সইফের কোনো আক্ষেপ নেই। তিনিও এখন চায় তৈমুর আগে মানুষের মতো মানুষ হোক।