রামপ্রসাদের পুজোয় এলেন বামাক্ষ‍্যাপা, মাকে খাইয়ে নিজেও খেলেন খাবার

Advertisement

Advertisement

রামপ্রসাদের আমন্ত্রণে তারা মায়ের পুজোয় উপস্থিত হলেন সাধক বামাক্ষ‍্যাপা। তবে তিনি হালিশহরের রামপ্রসাদ নন। হাওড়ার জুজারশা অঞ্চলের বাসিন্দা রামপ্রসাদ মাইতি (Ramprashad maity) প্রতি বছর ধূমধাম করে তারা মায়ের পুজো করেন। গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে রামপ্রসাদবাবুর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পুজোয় উপস্থিত হতে পারেননি ‘বামাক্ষ‍্যাপা’ সব‍্যসাচী চৌধুরী (sabyasachi chowdhury)। তবে এই বছর যেন মায়ের টানেই উপস্থিত হয়েছিলেন সব‍্যসাচী। তাঁর পরনে ছিল লাল রঙের পাঞ্জাবী, গলায় বাসন্তী রঙের উত্তরীয়।

Advertisement

রামপ্রসাদবাবুর পুজোটি হয় ডোমজুড় টোলট‍্যাক্সের কাছে। সেখানেই এদিন উপস্থিত হয়ে সব‍্যসাচী নিজের হাতে ভক্তদের দেওয়া জবার মালায় সাজিয়েছিলেন মা তারাকে। মায়ের পুজো করে তাঁকে ভোগপ্রসাদ খাইয়ে একই পাত্র থেকে নিজেও খেয়েছেন সব‍্যসাচী। এমনকি মাকে জল খাইয়ে সেই জল নিজের জিভেও ঠেকিয়েছেন তিনি। সাধক বামাক্ষ‍্যাপাও এভাবেই তারা মায়ের পুজো করতেন। সব‍্যসাচী বলেছেন, পর্দায় তিনি যেভাবে তারামায়ের পুজো করেন, এখানেও একই ভাবে পুজো করেছেন। কারণ তিনি এর মধ্যেই খুঁজে পান পুজোর সার্থকতা। খাবার ও জল খাইয়ে মায়ের গাল ধরে আদর করেছেন সব‍্যসাচী।

Advertisement

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ ‘-এর ‘বামাক্ষ‍্যাপা’ তাঁদের এলাকায় আসছেন শুনে জুজারশার বাসিন্দারা এমনিতেই তাঁকে একঝলক দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন। বাদ যায়নি অটোগ্রাফ নেওয়া, সেলফি তোলাও। কিন্তু সব‍্যসাচী পুজো করার পর বাসিন্দাদের অনেকেই তাঁকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছেন। যখন তাঁরা প্রণাম করছিলেন তখন অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন সব‍্যসাচী। তিনি জানালেন, মনে মনে সাধক বামাক্ষ‍্যাপাকে স্মরণ করে তিনি বলেছেন, এই প্রণাম তাঁর পাওনা, তিনি তো শুধুই নিমিত্ত। সেদিন অদ্ভুতভাবে একাকার হয়ে গিয়েছিল সাধক বামাক্ষ‍্যাপা ও সব‍্যসাচীর সত্ত্বা। বামাক্ষ‍্যাপা ছিলেন উচ্চমার্গের সাধক। কিন্তু সব‍্যসাচী যে মানুষ। তাই সব কিছু ছাপিয়ে উঠে এসেছে তাঁর মানবহৃদয়ের আকুতি “ঐন্দ্রিলাকে ভালো করে দাও মা, ও যে খুব কষ্ট পাচ্ছে”।

Advertisement

Recent Posts