একুশে বাংলা বিধানসভার নির্বাচনকালে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠেছে। এরইমধ্যে গতকাল দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণপর্ব সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচ্য কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে গেরুয়া সৈনিক হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল নির্বাচন চলাকালীন জয়নগরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী এক প্রকার মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরে যাবেন এবং সেই জন্য তিনি অন্য দ্বিতীয় আসন খুঁজছেন। তবে মোদির খোঁচার পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নন্দীগ্রামে জয়ের মুখ দেখবে দিদি। তার অন্য কোনো দ্বিতীয় আসনে দাঁড়ানোর প্রশ্নই উঠছে না। এছাড়া মহুয়া মিত্র পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, “২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারানসিতে দাঁড়াবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
মহুয়া মিত্র একটি টুইট করে বলেন, “দ্বিতীয় আসন থেকে লড়াই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। হ্যাঁ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়বেন। আর সেই আসনটি হবে বারাণসী। তাই নিজের বর্ম পরে নিন।” তৃণমূলের তরফ থেকেও এই টুইট করা হয়। টুইটগুলি ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। আর তারপর থেকেই নেটিজেন এর মধ্যে বারাণসীতে “মোদি বনাম দিদির” কল্পনাযুদ্ধে টুইটযুদ্ধ হচ্ছে। অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারাণসীতে নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথাকে তীব্র বিদ্রুপ করেছেন। অনেকেই বলেছেন মোদি বারাণসীতে যা উন্নতি করেছে তা মমতা সারাজীবনে করতে পারবে না। আবার অনেকে বলেছে বারানসি কেন? মমতা দাঁড়ালে মোদির গুজরাটে এসে নির্বাচন লড়াই করুক।
আবার অনেকে টুইট যুদ্ধে শামিল হয়ে মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেকের মতে নরেন্দ্র মোদি বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী আর মাত্র পাঁচ বছরের অতিথি। সবমিলিয়ে সকাল থেকে মোদি বনাম দিদির লড়াইয়ের কল্পনা করে টুইট যুদ্ধে মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল নরেন্দ্র মোদি মমতাকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “দ্বিতীয় কোন আসনে লড়ছেন তিনি?”