জ্যোতিষ

তুলসী গাছ ব্যাপক সতেজ এবং সবুজ থাকবে, এই ৩ সার ব্যবহার করুন, নাম বলবে না নার্সারির লোকেরাও – TULSI PLANT

হিন্দু ধর্মমতে তুলসী গাছে ভগবান বাস করেন

Advertisement
Advertisement

ভারতীয় মাইথোলজি থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র সমস্ত জায়গাতেই যেই গাছটির কথা প্রায় সামনে আসে তা হল তুলসী গাছ। এতো প্রত্যেক বাঙালি তাদের বাড়ির উঠোনে একটি করে তুলসী গাছ লাগিয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মমতে এই গাছকে পুজো করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই তুলসী গাছের মধ্যে ভগবান বিরাজ করেন। আবার আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের কথা বলতে গেলে এই গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা যায়। জ্বর সর্দি কাশি হলেই বাড়ির মা কাকিমারা এই গাছের পাতা খাওয়ার উপদেশ দেন।

Advertisement
Advertisement

তাই মানুষ যতই আধুনিকতার ছোঁয়াতে সমৃদ্ধ হোক না কেন সবাই তাদের বাড়িতে একটি করে তুলসী গাছ অন্তত লাগাতে চেষ্টা করেন। অনেকে আবার তাদের বাড়ির বাগানে তুলসী গাছ লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় এই গাছ নষ্ট হয়ে যায়। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে তুলসী গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এতে সার দিতে হয়। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা আপনি যদি আপনার তুলসী গাছ সবুজ দেখতে চান তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তিনটি সার সম্বন্ধে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিন।

Advertisement

তুলসী গাছ ভালো হওয়ার জন্য যেই সার সকলেই ব্যবহার করে থাকেন তা হল জাইম সার। জাইম সারে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে যার কারণে তুলসী গাছ সব সময় সবুজ থাকে। তুলসী গাছের টবে মাত্র এক দুই চামচ এই সার দিলেই ভালো ফল পাবেন। এছাড়া তুলসী গাছের জন্য সরিষার কেক বেস্ট জৈব সার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ব্যবহার করলে বছরের পর বছর তুলসী গাছ নষ্ট হবে না এবং সবুজ থাকবে।

Advertisement
Advertisement

আর তুলসী গাছ সতেজ করার জন্য আপনি উচ্ছিষ্ট খাবার অর্থাৎ তরকারি রান্না করার খোসা বা ফলের খোসা জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই জৈব সার তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে এই ফল এবং সবজির খোসা রাখুন এবং সেই সাথে চা পাতা মেশান। এরপর ওই পাত্রে হাফ চামচ লেবুর রস এবং হাফ কাপ জল মেশান। এবার পাত্রটিকে ঢেকে চার পাঁচ দিন রেখে দিন এবং আপনার জৈব সার প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই জৈব সার তুলসী গাছে ব্যবহার করলে পাতা সবুজ এবং গাছ সতেজ থাকবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button