অফবিট

লোকনাথের তিরোধান দিবসে আজ রইলো ‘নিরামিষ খিচুড়ি ভোগ’ এর রেসিপি

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি- লোকনাথের তিরোধান দিবস উপলক্ষে অনেকেই নিরামিষ আহার করে থাকেন আজকের দিনে। আর খিচুড়ি খাওয়ার জন্য প্রকৃতিও যেন কেমন একটু মেঘলা মেঘলা হয়ে সেজে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা না ঢুকলেও নিম্নচাপ বা কালবৈশাখীর জন্য বৃষ্টির পরিমাণ কিন্তু কমেনি। সব মিলেই আজকে খিচুড়ির জন্য দিনটা খুব একটা মন্দ হবে না। তবে খিচুড়ির ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। মুঘলরা এই খাদ্যটি রীতিমতো প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। আকবরের আমলে রচিত আইন-ই-আকবরী গ্রন্থের খিচুড়ির কথা উল্লেখ আছে তাতে দেওয়া হতো জাফরান নামক শুকনো ফল। এই খিচুড়ি বেশ মসলাযুক্ত হতো।

Advertisement
Advertisement

তাছাড়া ইতিহাস ঘাটলে জাহাঙ্গীরের খাদ্য তালিকা তো দেখা যাবে পেস্তা আর কিশমিশ দ্বারা সমৃদ্ধ এক ধরনের খিচুড়ির কথা। ওরঙ্গজেব পছন্দ করতেন ‘আলমগীরী খিচুড়ি’। যা তৈরি হতো মাছ এবং সিদ্ধ ডিমের সংমিশ্রণে। নাসিরুদ্দিন শাহ রান্নাঘরেও তৈরি হতো পেস্তা, বাদাম দিয়ে অসাধারণ খিচুড়ি। খিচুড়ি নানা ধরনের হয় মুসুর ডালের খিচুড়ি, ইলিশ খিচুড়ি, চিকেন খিচুড়ি, সরস্বতীপুজো স্পেশাল খিচুড়ি, ঈদ স্পেশাল মুসুর ডালের খিচুড়ি ইত্যাদি। খিচুড়ি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো বিশেষ করে সবজি দিয়ে খিচুড়ি যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেক এই খেতে পারেন। তবে আজ আমিষ খিচুড়ি বাদ দিয়ে আমাদের আজকের রেসিপি নিরামিষ খিচুড়ি।

Advertisement

উপকরণঃ গোবিন্দভোগ চাল, মুগ ডাল, সরষের তেল, আলু, টমেটো, মটরশুঁটি, ফুলকপি, গাজর,স্বাদমতো নুন, মিষ্টি, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে, গোটা গরম মশলা, ধনে জিরের গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো।

Advertisement
Advertisement

প্রণালীঃ প্রথমে চাল, ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আলুকে টুকরো করে কাটতে হবে। তাছাড়া বাকি সবজি গুলোকেও ছোট ছোট আকারে কেটে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে রাখতে হবে। কড়াইতে পরিমান মত তেল নিয়ে আলু গুলো হাল্কা ভেজা এবং সবজি গুলিও হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে তারপর তেলের মধ্যে শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ফোড়ন, দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ডাল টি দিয়ে বেশ লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। ডাল ভাজা হয়ে গেলে সেখানে চাল দিতে হবে। চাল ভাজা হয়ে গেলে টমেটো কুচি, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, বাকিগুলো মশলা দিয়ে ভালো করে ভাজতে হবে। ভালো করে ভাজা ভাজা হয়ে গেলে একটু গরম জল ঢেলে চাপা দিয়ে রাখতে হবে সেদ্ধ হওয়ার জন্য। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে ভালো করে নাড়িয়ে মটরগুলি দিয়ে দিতে হবে। আবারো ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ঢাকা খুলে স্বাদমতো নুন, মিষ্টি এবং ঘি গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে আবারো ঢাকা বন্ধ করে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘সুস্বাদু নিরামিষ খিচুড়ি’।

Advertisement

Related Articles

Back to top button