Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

‘প্রচণ্ড জ্বরেও অক্ষয় আমার সঙ্গে করেছিলেন… ‘টিপ টিপ বর্ষা পানি’ গান নিয়ে যা বললেন রবীনা

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অক্ষয় কুমার প্রায় তিন দশক ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করে আসছেন। ১৯৯১ সালে সৌগন্ধ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার পর একের পর এক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে নিজের…

Avatar

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অক্ষয় কুমার প্রায় তিন দশক ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করে আসছেন। ১৯৯১ সালে সৌগন্ধ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার পর একের পর এক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে নিজের একটা আলাদা জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন অক্ষয় কুমার। এখনো পর্যন্ত কিন্তু তার এই জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে। তার ক্যারিয়ারে একাধিক উত্থান-পতন থাকলেও ১৯৯৩ সালে মোহরা ছবির পরে অক্ষয়কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এই ছবিতে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ছিলেন বলিউডের এককালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন। নাসিরুদ্দিন শাহ, সুনীল শেট্টি এবং রাজা মুরাদ এর মত কিংবদন্তিরা থাকলেও এই ছবিতে অক্ষয় কুমার এবং রবীনা টন্ডনের কেমিস্ট্রি ছিল একেবারে অসাধারণ।

মাত্র ৩.৭৫ কোটি টাকা বাজেট নিয়ে তৈরি করা এই সিনেমা ২২.৬৫ কোটি টাকা আয় করেছিল সেই যুগেও। এই একটি ছবির সাফল্যের পর অক্ষয় এবং রবিনা দুজনেরই ক্যারিয়ার একেবারে মধ্যগগনে পৌঁছে যায়। তবে, এই মোহরা সিনেমার সব থেকে বড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল অক্ষয় কুমার এবং রবীনা টন্ডনের অভিনীত গান টিপ টিপ বরসা পানি। বেশ কয়েক দশক হয়ে গেলেও এই গান এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। যে কোন পার্টিই হোক কিংবা কোন অনুষ্ঠান, এই গানটি একেবারে মাস্ট। রোমান্টিক গানটি একটা সময় জনপ্রিয়তার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। যদিও, খুব কম মানুষই জানেন এই একটি গান রেকর্ড করতে সময় লেগেছিল প্রায় চার দিন। এই গানটির শুটিং করতে গিয়ে রবীনা টন্ডনকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সম্প্রতি রবীনা নিজেই এই বিষয়টি সকলের সামনে খোলসা করলেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রবীনা নিজেই জানিয়েছেন, একটি নির্মীয়মান বাড়িতে শুটিং করা হয়েছিল এই টিপ টিপ বর্ষা পানি গানটির। তিনি বলছেন, “এই গানটির শুটিং করার সময় অনেক নুড়িপাথর আমার পায়ে বিঁধে যাচ্ছিল। এছাড়াও বৃষ্টির জন্য যে ট্যাংকের জল ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটাও ছিল অত্যন্ত ঠান্ডা। বারবার জলে ভিজে যাওয়ায় আমার প্রচন্ড সর্দি লেগে ছিল এবং আমার জ্বরও হয়েছিল।”

তিনি আরো জানাচ্ছেন, “আমার প্রচন্ড জ্বর হয়েছিল এবং এই কারণে আমার পুরো শরীর একেবারে আগুনের মতো জ্বলছিল। শীতে থেকে বাঁচার জন্য আমি শুটিংয়ের সেটে বারবার আদা চা পান করছিলাম। এছাড়াও, আমাকে এই গানে একবার হাঁটু মুড়ে বসে গোল গোল ঘুরতে হয়েছিল, এই দৃশ্যটির শুটিং করার সময় আমার হাঁটুর চামড়া একেবারে ছড়ে গিয়েছিল। এমনকি আমার সেই সময় পিরিওডস চলছিল। কিন্তু তবুও সেই গানে আমাকে লাস্যময়ী দেখাতে হতো। এইসব করা আমার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু তারপরে যখন দেখি এই গান ব্যাপক হিট! তখন আমি অত্যন্ত খুশিও হয়েছিলাম এটা ভেবেই যে, আমার কষ্ট সফল হয়েছে।”

About Author