দেশের কোটি কোটি পরিবার যাঁরা প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য নতুন সুখবর। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে রেশন কার্ডকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। এই নিয়মের আওতায় রেশন কার্ডধারীরা পাবেন একাধিক সুবিধা। সরকারের দাবি, এই উদ্যোগ শুধু দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের আর্থিক বোঝা কমাবে না, বরং জনকল্যাণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। রেশন কার্ড এতদিন শুধু খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন তা হয়ে উঠছে বহুমুখী সুযোগের চাবিকাঠি। বিনামূল্যে খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সহায়তা, এমনকি জীবনবিমা—সবকিছুই যুক্ত হচ্ছে এই একটিমাত্র কার্ডের সঙ্গে।
মূল সুবিধাগুলি কী কী?
প্রথমত, প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ৫ কেজি করে চাল ও গম একেবারে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সরকারের মতে, এই ব্যবস্থা বিশেষত দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে বড় স্বস্তি দেবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowদ্বিতীয়ত, সাবসিডি মূল্যে খাদ্যশস্য পাওয়ার সুযোগ থাকবে। চাল মাত্র ৩ টাকা কেজি এবং গম ২ টাকা কেজিতে পাওয়া যাবে। বাজারদরের তুলনায় এই দাম বহু পরিবারকে আর্থিক স্বস্তি দেবে।
তৃতীয়ত, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’ প্রকল্পের বিস্তার ঘটানো হবে। এর ফলে যাঁরা কাজের খোঁজে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যান, তাঁরা সহজেই যেকোনও জায়গা থেকে রেশন নিতে পারবেন।
চতুর্থত, উজ্জ্বলা যোজনা-র আওতায় মিলবে সস্তায় এলপিজি সিলিন্ডার।
পঞ্চমত, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে রেশন কার্ডধারীদের। এর মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।
ষষ্ঠ ও সপ্তমত, রেশন কার্ড হবে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে প্রমাণপত্র হিসেবে বৈধ। পাশাপাশি মিলবে প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা কভার।
সবশেষে, অষ্টম সুবিধা হিসেবে সরকারের ঘোষণা—শিক্ষা ও বৃত্তি সহায়তা। অর্থাৎ রেশন কার্ডধারী পরিবারের সন্তানরা শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা ও স্কলারশিপ পাবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া
ইচ্ছুক নাগরিকেরা তাঁদের নিকটবর্তী জনসেবা কেন্দ্র বা রেশন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। একইসঙ্গে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধাও রাখা হয়েছে। একবার আবেদন অনুমোদিত হলে সমস্ত সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে।