Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

একসময় বুলেটের থেকেও বেশি জনপ্রিয় ছিল এই বাইকটি, এখনো রয়েছে ব্যাপক চাহিদা, কবে হবে লঞ্চ?

শুধু আজকের দিনে নয়, বহু বছর ধরেই মার্কেটিং যে কোন প্রোডাক্টের বিক্রির ক্ষেত্রে একটা বড় জায়গা দখল করে। এই কারণেই প্রতিটি কোম্পানি তাদের জিনিসের বিজ্ঞাপনে বিরাট খরচ করে থাকে। প্রতিটি…

Avatar

শুধু আজকের দিনে নয়, বহু বছর ধরেই মার্কেটিং যে কোন প্রোডাক্টের বিক্রির ক্ষেত্রে একটা বড় জায়গা দখল করে। এই কারণেই প্রতিটি কোম্পানি তাদের জিনিসের বিজ্ঞাপনে বিরাট খরচ করে থাকে। প্রতিটি কোম্পানি তাদের জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য বড় বড় তারকাদের সাইন করেন। আর এই বিজ্ঞাপনের কারণেই এখনো পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে ৭০-৮০ দশকের জনপ্রিয় বাইক রাজদূত। সেই সময় হিন্দি সিনেমা জগতের সব থেকে বড় তারকা ধর্মেন্দ্র ছিলেন এই বাইকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। রাজদূত কোম্পানিটি ধর্মেন্দ্রকে দিয়ে তাদের বিজ্ঞাপন করিয়েছিলেন। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে এখনো পর্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। এই বাইকে পাওয়ার এতটাই বেশি ছিল যে এখনো পর্যন্ত রাজদূত বাইকের কোন দ্বিতীয় বিকল্প আসেনি। কম সময়ের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই বাইক। ৭০-৮০ দশকের সবার মুখে সেই সময় রাজদূতের জয়জয়কার। তবে, হিরো হোন্ডা, ইয়ামাহা এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলি ৯০ এ দশকে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে থাকায় ধীরে ধীরে মার্কেট থেকে হারিয়ে যায় রাজদূত।

এই রাজদূত বাইকের নির্মাতা কোম্পানি ছিল এসকর্ট। বর্তমানে এই কোম্পানিটির ট্রাকটার এবং ট্রাক তৈরি করে। এখন রাজদূত বাইকের প্রোডাকশন তেমন হয় না বললেই চলে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এই বাইক আবারো বাজারে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। একেবারে নতুনভাবে ভারতের বাজারে আবারও আসতে পারে রাজদূত। কোম্পানি এখনো পর্যন্ত এই বাইকের পুনরায় লঞ্চের ব্যাপারে কিছু না জানালেও, কোম্পানি এই বাইক নিয়ে যে চিন্তা-ভাবনা করছে সেটা অস্বীকার করেননি কোম্পানির কর্ণধাররা। আজকের যুগে পুরনো ক্রুজার বাইকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। নতুন স্টাইল এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে যদি এই বাইকটিকে আবারও মার্কেটে লঞ্চ করা যায় তাহলে বর্তমান যুগের অন্যান্য বাইক কে পিছনে ফেলতে পারে রাজদূত। এই বাইকের দাম আগেও খুব একটা বেশি ছিল না। তাই যদি খুব কম দামের মধ্যে দারুন ডিজাইন এবং দারুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসা যায়, তাহলে আবারও ভারতের বাজারে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছতে পারে রাজদূত বাইক।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

পুরনো রাজদূত বাইকের কথা বললে, ১৭৩ সিসি টু স্ট্রোক ইঞ্জিন, যা ৭ বিএইচপি শক্তি এবং ১২ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করতে পারতো। সেই সময় এই বাইকটি ছিল ভারতের সবথেকে ভালো স্পোর্টস বাইক। ১৯৭০ সালে যখন ঋষি কাপুর ববি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সেই সময় তিনি শুধুমাত্র রাজদূত বাইক ব্যবহার করতেন। সেলিব্রিটিদের গ্যারাজের অংশ ছিল এই রাজদূত। এই কারণে অনেকেই এই বাইক কিনতে চাইতেন। এই যুগের বিভিন্ন ব্লকবাস্টার ছবিতেও রাজদূত বাইকের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। সময়ের সাথে সাথে রাজদূত কোনদিনই নিজেকে আপডেট করতে পারেনি। এই কারণেই এই কোম্পানিটি হারিয়ে গিয়েছিল ভারতের বাজারে।

About Author