১৫ জুলাই থেকে ভারতীয় রেল এক বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটল। এবার থেকে তৎকাল টিকিট বুকিং করতে হলে আবশ্যিকভাবে আধার যাচাইকৃত IRCTC অ্যাকাউন্ট লাগবে। পাশাপাশি OTP নির্ভরতা ও এজেন্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দালালদের দৌরাত্ম্যও রোখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে রেলওয়ের মূল উদ্দেশ্য—টিকিট ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও যাত্রী বান্ধব করে তোলা। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া OTP পরিষেবা এখন বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর মাধ্যমে, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের সময় IRCTC অ্যাকাউন্টে রেজিস্টার্ড মোবাইলে একটি OTP যাবে, যা ছাড়া টিকিট কনফার্ম হবে না।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএজেন্টদের জন্যও কড়া নিয়ম
রেলওয়ে এজেন্টদের ক্ষেত্রেও নতুন বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যাতে প্রথমে টিকিট বুক করতে পারেন, তার জন্য এজেন্টদের প্রথম ৩০ মিনিট বুকিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। যেমন, এসি কোচের তৎকাল বুকিং শুরু হয় সকাল ১০টায়, কিন্তু এজেন্টরা টিকিট কাটতে পারবেন ১০.৩০টার পর থেকে। স্লিপার শ্রেণির ক্ষেত্রেও সকাল ১১টা থেকে যাত্রীদের বুকিংয়ের সুযোগ থাকবে, কিন্তু এজেন্টদের জন্য সেই সুবিধা মিলবে ১১.৩০টার পর।
অপেক্ষমাণ টিকিটের পরিমাণ কমানো হল
রেল আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এখন থেকে শুধুমাত্র ২৫% পর্যন্ত অপেক্ষমাণ টিকিট ইস্যু করা হবে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে যারা নিশ্চিত টিকিট পান, তাঁদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ‘প্যাসেঞ্জার প্রোফাইল ম্যানেজমেন্ট (PPM)’ সিস্টেমের ভিত্তিতে। এই আধুনিক প্রযুক্তি, যা AI ও Machine Learning-এর মাধ্যমে যাত্রীদের বুকিং, বাতিলকরণ এবং অপেক্ষমাণ তালিকার ডেটা বিশ্লেষণ করে, তার মাধ্যমে রেল বুঝেছে কোন ট্রেনে কতটুকু অপেক্ষমাণ টিকিট দরকার।
কীভাবে উপকৃত হবেন যাত্রীরা?
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মতে, যেসব ট্রেনে বেশি টিকিট বাতিল হয়, সেখানে অপেক্ষমাণ টিকিটের সীমা তুলনামূলক বেশি থাকবে। আর যেখানে বাতিল কম হয়, সেখানে অপেক্ষমাণের সুযোগও সীমিত হবে। এর ফলে যাত্রীরা নিশ্চিত টিকিট পেতে পারবেন, আর শেষ মুহূর্তে বাতিলের ঝুঁকিও থাকবে না।
FAQ: গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্রশ্ন
১. এখন থেকে কি তৎকাল টিকিট কাটতে আধার বাধ্যতামূলক?
হ্যাঁ, ১৫ জুলাই থেকে আধার ভেরিফায়েড IRCTC অ্যাকাউন্ট ছাড়া তৎকাল টিকিট কাটা যাবে না।
২. OTP না পেলে কি টিকিট কনফার্ম হবে না?
ঠিক তাই, মোবাইলে পাওয়া OTP ছাড়া তৎকাল বুকিং সম্পূর্ণ হবে না।
৩. রেলের এই নিয়মে এজেন্টদের ভূমিকা কতটা সীমিত হয়েছে?
প্রথম ৩০ মিনিট সাধারণ যাত্রীরা আগে টিকিট কাটতে পারবেন, এজেন্টদের পরে।
৪. অপেক্ষমাণ টিকিট কমানোয় কি সাধারণ যাত্রীরা অসুবিধায় পড়বেন?
না, বরং নিশ্চিত টিকিটের সংখ্যা বাড়বে, যা যাত্রীদের সুবিধা দেবে।
৫. রেল এই সিদ্ধান্ত নিল কোন ভিত্তিতে?
AI এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের সাহায্যে যাত্রীদের বুকিং আচরণ বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।