পুজোর আগে কি সত্যিই বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য জুড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু হয়েছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার—এই তালিকায় রয়েছে নানা প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। প্রতি মাসে রাজ্যের অসংখ্য মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ সাহায্য পান। পরিবার চালাতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচে এই ভাতা বড় ভূমিকা রাখে।
দ্বিগুণ ভাতা দেওয়ার সম্ভাবনা?
সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর থেকেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে প্রায় দ্বিগুণ টাকা। গুঞ্জন অনুযায়ী, সাধারণ জাতির মহিলারা পেতে পারেন মাসে ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতির মহিলারা পেতে পারেন ১৮০০ টাকা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
সদ্য এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, *“২৫ বছর বয়স থেকে শুরু হয়ে সারাজীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন। সারাজীবন পাবেন।”* পাশাপাশি তিনি জানান, সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’-এর আবেদনগুলির মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজও দ্রুত শেষ হবে।
বাস্তবে কতটা বাড়বে ভাতা?
এখনও পর্যন্ত কেবলমাত্র সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও সরকারি তরফে বাড়তি ভাতার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থিক পরিস্থিতি ও বাজেট বরাদ্দ বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ফলে, পুজোর আগে ভাতা বাড়বে কি না—তা সময়ের অপেক্ষা।
সাধারণ মানুষের আশা
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে অর্থ পান, তা দিয়ে সংসারের অনেকটাই চাপ কমে যায়। ভাতা যদি সত্যিই বাড়ে, তাহলে পরিবারের আর্থিক স্বস্তি আরও বাড়বে বলে মত বহু উপভোক্তার। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাশার পাশাপাশি অনিশ্চয়তাও রয়ে গিয়েছে।