মাত্র ৭০ টাকা ঢাললেই মিলবে ৭০ লাখ টাকা রিটার্ন, পোস্ট অফিসের ধামাকা স্কিমে চমক – Post Office Scheme

বাংলার বহু পরিবারে আজও বড় প্রশ্ন—কন্যার পড়াশোনা, বিবাহ বা ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে? এই সমস্যার সহজ সমাধান দিচ্ছে পোস্ট অফিসের জনপ্রিয় স্কিম সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY)। ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ এবং নিশ্চিত রিটার্ন—এই দুইয়ের মেলবন্ধনই করেছে এই প্রকল্পকে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা।
নিরাপদ বিনিয়োগে নিশ্চিত মুনাফা
বর্তমানে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ৮.২% বার্ষিক সুদ দেওয়া হচ্ছে। এই পুরো প্রকল্পটি করমুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আয়করের ঝামেলা ছাড়াই বড় অঙ্কের মুনাফা পেতে পারেন। ছোট অঙ্ক দিয়ে শুরু করলেও দীর্ঘ মেয়াদে একটি বড় তহবিল গড়ে ওঠে, যা কন্যার উচ্চশিক্ষা বা বিবাহের সময় বিশেষ সহায়ক হয়।
কতটা বিনিয়োগ সম্ভব?
এই অ্যাকাউন্টে বছরে ন্যূনতম 250 থেকে সর্বাধিক 1.5 লক্ষ পর্যন্ত জমা রাখা যায়। ১০ বছরের কম বয়সী কন্যার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। একটি পরিবারে সর্বাধিক দু’টি কন্যার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে, তবে যমজ কন্যার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তিনটি অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিদিন সামান্য সঞ্চয়ে বড় ফান্ড
যদি কোনও অভিভাবক প্রতিদিন মাত্র 70 সঞ্চয় করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে কন্যার নামে ভালো অঙ্ক জমা হবে। আর যদি প্রতিদিন প্রায় 400 অর্থাৎ মাসে 12,500 এবং বছরে 1.5 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ২১ বছর পরে কন্যার নামে জমা হতে পারে প্রায় 69,27,578। এর মধ্যে মোট বিনিয়োগ হবে 22,50,000 এবং বাকি প্রায় 46,77,578 আসবে শুধুমাত্র সুদের মাধ্যমে।
বিনিয়োগে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অভিভাবকের হাতে
অ্যাকাউন্ট খোলার পর সর্বাধিক ১৫ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দেওয়া যায়। কোনও আর্থিক বছরে ন্যূনতম ₹250 জমা না করলে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে ১৫ বছরের মধ্যে সেটি পুনরায় সক্রিয় করা সম্ভব। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে বা দশম শ্রেণি পাস করার পর আংশিক অর্থ তোলার সুযোগ থাকে। টাকা তোলা এককালীন বা কিস্তিতে করা যেতে পারে। পুরো প্রকল্পের মেয়াদ হয় ২১ বছর, তবে কেবল প্রথম ১৫ বছরই জমা দিতে হয়।
কেন জনপ্রিয় এই প্রকল্প?
মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার পাশাপাশি করছাড়, সুদ থেকে উচ্চ রিটার্ন এবং সরকারি গ্যারান্টি—এই তিনটি কারণে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা আজ অভিভাবকদের অন্যতম প্রথম পছন্দ। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যদি নিয়মিত বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে কন্যার জন্য একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।