অবসরের পরেও কি স্থায়ী আয়ের চিন্তা করছে প্রবীণ প্রজন্ম? পোস্ট অফিসের নতুন সিনিয়র সিটিজেন স্কিম সেই সমস্যার সমাধান এনে দিয়েছে। ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগে নির্দিষ্ট হারে সুদ, মাসিক আয় এবং কর ছাড়ের সুবিধা একসঙ্গে পাওয়ার সুযোগ থাকছে এই পরিকল্পনায়। ফলে অবসরজীবন কাটানো যাবে আরও নিশ্চিন্তে।
স্কিমের মূল উদ্দেশ্য
এই স্কিমের লক্ষ্য প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিকভাবে আত্মনির্ভর করে তোলা। অবসরের পর যাতে অন্যের উপর নির্ভর না করতে হয়, তার জন্য মাসিক নির্দিষ্ট আয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করা অর্থ ঝুঁকিমুক্ত, অর্থাৎ মূলধনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিনিয়োগের সীমা ও সুদের হার
এই অ্যাকাউন্ট ন্যূনতম 1000 জমা দিয়ে খোলা যায়। সর্বাধিক 30 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে এই স্কিমে বার্ষিক 8.2% হারে সুদ নির্ধারিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ সর্বাধিক 30 লক্ষ বিনিয়োগ করেন, তবে মাসে প্রায় 20,500 পর্যন্ত নিয়মিত আয় হবে।
কারা খাতা খুলতে পারবেন
এই স্কিমে যোগ দিতে হলে বয়স ন্যূনতম 60 বছর হতে হবে। তবে 55 থেকে 60 বছরের মধ্যে যাঁরা চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাঁরাও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে NRI বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) এই সুবিধার আওতায় আসবে না।
ট্যাক্স ছাড়ের সুযোগ
আয়কর সুবিধাও এই স্কিমের অন্যতম আকর্ষণ। ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্টের ধারা 80C-এর আওতায় ₹1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করমুক্ত। তবে বছরে যদি সুদ 50,000 ছাড়িয়ে যায়, তবে টিডিএস কেটে নেওয়া হবে। এই সমস্যা এড়াতে বিনিয়োগকারীদের ফর্ম 15G জমা দিতে হবে।
ম্যাচুরিটি ও মেয়াদ
এই স্কিমে বিনিয়োগের ন্যূনতম মেয়াদ ৩ বছর এবং সর্বাধিক ৫ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে এটি বাড়িয়ে মোট ৮ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর সুদ এবং মূলধন দু’য়েরই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
খাতা খোলার প্রক্রিয়া
নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রথমে একটি আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য, মনোনীত জমার পরিমাণ এবং সব ধরনের নথি (পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণ, ছবি) জমা দেওয়ার পর অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অর্থ জমা দিয়ে বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া যায়।