ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Post Office Schemes: কোটিপতি হতে চান? পোস্ট অফিসের এই স্কিমে টাকা রাখুন

Advertisement
Advertisement

কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়ে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। চাকরি হারিয়ে যখন বহু মানুষ বেকার তখন সংসার চালাতে পোস্ট অফিসের পিপিএফ ভরসা ছিল।
কি এই পিপিএফ? এটি পোস্ট অফিসের একটি দুর্দান্ত স্কিম। যাঁরা ভবিষ্যতের প্রয়োজনের জন্য৷ অর্থ সঞ্চয় করতে নিরাপদ জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান তাঁদের জন্য হল এই পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড। পিপিএফ সাধারণ মানুষের জন্য একটি খুবই সুরক্ষিত বিকল্প।

Advertisement
Advertisement

এই প্রকল্পে কোনো গ্রাহক বিনিয়োগ করলে মেয়াদ শেষে সেই ব্যক্তি কোটিপতি পর্যন্ত হওয়া যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে একসঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা জড়ো করার জন্য এটি বেশি উপকারি স্কিম। অন্যান ক্ষেত্রে টাকা বিনিয়োগ করার চেয়ে পিপিএফে টাকা বিনিয়োগ কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণ হল পোস্ট অফিসের সুদের হার সরকার দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং বাজারের ওঠানামার প্রভাব এই স্কিমেএ ওপর পড়ে না। এই ব্যাঙ্কের দর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে রিভিউ করা হয়। বর্তমানে পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ডে বার্ষিক ৭.১শতাংশ হারে টাকা সুদ প্রদান করা হয়।

Advertisement

পোস্ট অফিস বা যে কোনও ব্যাঙ্কে গ্রাহকরক নিজের নামে পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। মাত্র ৫০০ টাকায় গ্রাহকরা এই অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারেন। এবং একজন গ্রাহক ১.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট করা যেতে পারে। একজব ব্যক্তির এই পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে। যদিও, ১৫ বছর শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই ব্যক্তি চাইলে মেয়াদ আরো ৫ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়াতে পারেন।

Advertisement
Advertisement

যদি প্রতিমাসে একজন গ্রাহম ১২,৫০০ টাকা করে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ১২,৫০০ টাকা করে ১৫ বছর পর্যন্ত জমা দেওয়া হয় তাহলে মেয়াদ শেষে মোট অর্থের পরিমাণ হবে ৪০.৬৮ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সেই গ্রাহকের১৫ বছরের বিনিয়োগ হল ২২.৫০ লক্ষ টাকা আর সুদে আয় হল ১৮.১৮ লক্ষ টাকা। বার্ষিক ৭.১% সুদের হারে ১৫ বছর মেয়াদের হিসেব করে এই টাকার গণনা করা হয়েছে। যদি সুদের হার কোনো ভাবে পরিবর্তন হয় তাহলে ১৫ বছরের ম্যাচিউরিটির পর টাকার অঙ্কও বদলে যাবে।উল্লেখ্য, পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির হারে হিসেব করা হয়।

যদি ১৫ বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ২ বার ৫ বছর করে এই স্কিমের মেয়াদ বাড়ানো যায় তাহলে সেই লগ্নকারির কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হতে পারে। ২৫ বছর পর মেয়াদ শেষে সেই বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে মোট ১.০৩ কোটি টাকা জমা হবে যার মধ্যে সেই ব্যক্তির মোট লগ্নির পরিমাণ হল ৩৭.৫০ লক্ষ টাকা এবং সুদ হল ৬৫.৫৮ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, একটি পাবলিক প্রফিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য সেই ব্যক্তিকে ম্যাচিউরিটির এক বছর আগে আবেদন করতে হবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button