ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চিন্ত সঞ্চয়ের খোঁজে থাকেন? অথচ শেয়ারবাজারের ওঠানামা বা মিউচুয়াল ফান্ডের জটিলতা দেখে পিছিয়ে যাচ্ছেন? তাহলে পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট (RD) স্কিম হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত পথ।
সাধারণ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহুদিন ধরেই পোস্ট অফিস বিভিন্ন ছোট সঞ্চয় প্রকল্প চালু করে আসছে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। কম ঝুঁকিতে স্থির এবং নিশ্চিত রিটার্নের প্রতিশ্রুতি থাকায় বহু মানুষ আজ এই স্কিমের দিকে ঝুঁকছেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকী এই পোস্ট অফিস RD স্কিম?
এই প্রকল্পের বিশেষত্ব হল, মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বড় অঙ্কের সঞ্চয় গড়ে তোলা সম্ভব। স্কিমটির মেয়াদ পাঁচ বছর। তবে চাইলে আরও পাঁচ বছর বাড়ানো যায়। বর্তমানে এই স্কিমে বার্ষিক সুদের হার ৬.৭ শতাংশ, যা দেশের অনেক ব্যাঙ্কের থেকেও বেশি।
মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই মিলবে ৮.৫৪ লক্ষ টাকা!
প্রতি মাসে যদি আপনি ৫০০০ টাকা করে এই স্কিমে জমা করেন, তাহলে প্রথম পাঁচ বছরে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ৩ লক্ষ টাকা। সুদ মিলিয়ে মেয়াদ শেষে এই রিটার্ন দাঁড়াবে ৩,৫৬,৮৩০ টাকা। এই অ্যাকাউন্ট যদি আরও পাঁচ বছরের জন্য এক্সটেন্ড করা হয়, তাহলে দশ বছরে মোট বিনিয়োগ হবে ৬ লক্ষ টাকা, আর সুদ হবে ২,৫৪,২৭২ টাকা। সব মিলিয়ে হাতে আসবে ৮,৫৪,২৭২ টাকা।
আরও কী সুবিধা মিলবে?
মাত্র এক বছরের মধ্যে এই স্কিমে লোন নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।
তিন বছরের পর প্রি-ম্যাচিওর ক্লোজারের সুযোগও রয়েছে।
একক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট এবং মাইনরের অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দেওয়া হয়।
কিভাবে খুলবেন এই অ্যাকাউন্ট?
এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনার নিকটবর্তী কোনও পোস্ট অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণপত্র দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে সহজেই।
প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ-style)
১. পোস্ট অফিস RD স্কিম কী?
এটি একটি ছোট সঞ্চয় প্রকল্প, যেখানে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকা জমিয়ে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়।
২. এই স্কিমে কত টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করা যায়?
মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু করা যায়।
৩. সুদের হার কত?
বর্তমানে বার্ষিক ৬.৭% সুদ পাওয়া যায়।
৪. প্রি-ম্যাচিওর ক্লোজার বা লোন নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি?
হ্যাঁ, তিন বছর পর অ্যাকাউন্ট বন্ধ এবং এক বছর পর লোন নেওয়ার সুবিধা আছে।
৫. অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কী কী ডকুমেন্ট লাগে?
পরিচয়পত্র (যেমন আধার/ভোটার কার্ড) এবং ঠিকানার প্রমাণ জমা দিতে হবে।