Pori Moni: পুলিশ আধিকারিকের সাথে পরীমনির ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী!

Advertisement

Advertisement

স্মৃতি শামসুন্নাহার, যিনি পরীমনি নামে অধিক পরিচিত দুই বাংলাতে। একদিকে বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী দুই হিসেবে বেশ খ্যাত। তবে বেশ কিছুদিন ধরে নানান বিতর্কে এই ঢালিউড অভিনেত্রীর নাম উঠে আসছে। গত মাসের ৪ তারিখে ঢাকার বনানী এলাকার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়। টানা ২৭ দিন জেলে থাকার পরে, বুধবার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পান এই অভিনেত্রী।

Advertisement

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর আদালতের দায়রা বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমণির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। আগে একাধিকবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল। পরীমণি ছাড়া পেয়ে এখন নিজের বাড়িতেই আছেন। তবে অভিনেত্রী জেলে থাকাকালীন অভিনেত্রীর একটি ব্যক্তিগত ভিডিও তোলপাড় হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে৷

Advertisement

আসলে তিনি জেলে থাকার সময় পুলিশ অফিসার গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে যায়। আর এরপরেই দুইজনের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়ে যায় নানান তর্ক বিতর্ক।ই উটিউবে শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল তদন্তকারী অফিসার গোলাম সাকলায়েনের জন্মদিন সেলিব্রেশন চলছে এক রেস্তোরাঁয়। এক‌টা নীল রঙের সুন্দর কেক কা‌টছেন পুলিশ আধিকারিক। আর অফিসারের ঠিক পাশেই বসে আছেন পরীমনি। দু’জনে হাত ধরে একসাথে কেক কাটলেন এবং সাকলায়েনকে কেক খাইয়ে দিলেন পরী। তারপরে প্রকাশ্যে চুমু খেলেন সেই গোলাম সাকলায়েনের
ঠোঁটে। এখানেই শেষ নয়, এরপর একটা বড় কেকের টুকরো নিজের মুখে নিয়ে খাইয়ে দিতে দেখা গেল সাকলায়েনকে।

Advertisement

তবে সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন পরীমণি।বাংলাদেশের এক সংবাদ-মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ”আমার গাড়ি, ফোন সবই তদন্তকারী আধিকারিকরা নিয়ে নিয়েছে। যেসমস্ত ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলি তাঁর ফোনেই ছিল।তবে তাঁর এই ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার কোনও অধিকার কারোর নেই।’ অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, তিনি যে বাড়িতে ছিলেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ দেখেছেন।

তিনি পালটা অভিযোগ করেন জেলে থাকাকালীন কীভাবে তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে৷ এদিন বাংলাদেশের এই সংবাদমাধ্যমে নিজেকে আরও একবার নির্দোষ বলে দাবি করেন পরীমণি। তাঁর প্রশ্ন, ”তিনি কী এমন করেছেন? শুরু থেকেই শক্ত ছিলেমন, যদি তিনি দোষী হতেন তাহলে ভেঙে পড়তেন। তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটেছে সবই বলব, গত একমাস ধরে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন, তাই একটু সময় দিন।”  যেদিন তিনি করাদ থেকে ছাড়া পান, তার আগের দিন রাতে উত্তেজনায় ঘুম হয়নি, ওই সময়টা তিনি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি এও বলেন এদিন অনেকেই নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছবি তুলেছেন, ইউটিউবে রসালো গল্প বানিয়ে পোস্ট করেছেন।